আছি দেখো- ভবের আশ্রয় -ভবেরী পারে-
আছি দেখো- ভবের বাসায় -ভবের সংসারে,
বৃথা করে- আমায় আমায় -স্বার্থ সিদ্ধিতে-
চাইলে পারে পাবে তাঁরে- নিষ্ঠাবান হলে -ভবের আশ্রয়ে।


ভেবে দেখো মনে- ফলন ধরে গাছ বৃক্ষে লতা গুল্মীতে -আহার তবে চলে-
বপন বীজবৃক্ষে- রোপন গাছে -কতো আহার ফলে ভূমি মাটিতে,
খেলে পারে বাঁচবে তবে- নইলে -মৃত্যু হবে শেষে-
কেমন করে বাঁচবে তুমি- পরস্পরের -ছেদে।


সবাই বাঁচে পরস্পরে- নির্ভর শীল -বেয়ে-
সবাই বাঁচে একে অপরের- নির্ভর শীল -হয়ে,
কেমন করে বাঁচবে তুমি- স্বার্থ সিদ্ধি -শেষে-
বৃথা করে- আমায় আমায় -ভবের সংসারে।


মারিয়েছি কতো আমি- পদতলে -জানি না-জানি-
গাছ বৃক্ষ ফল ফুল বীজি- জান্তে অ-জান্তি,
তবু-কি আমরা মানি- সবিই -বিধি বিধাতার সৃষ্টি-
বৃথা মিছি কেনো করো- আমার আমারি।


রবির ওই জ্যোতির মতো- রতি জালো -ভোরের বাতী-
দিবানিশি রাত্রি জাগি- চন্দ্র তুমি -শূন্যে ভাসি,
কেমনে বোঝায় বুলি- মাঝি -জ্ঞাতে অজ্ঞাতি-
কেমনে বোঝায় বুলি- দ্বারি -জ্ঞানে অজ্ঞানি।


"বসত মাতা-রে- মানব মানবী -কেমনে বাসি"


আছি দেখো- ভবের আশ্রয় -ভবের সংসারে-
বৃথা কেন করো- আমায় আমায় -ভবের আশ্রয়ে,
চেয়ে দেখো তাঁরে- হাত বাড়িয়ে বসে থাকে -সারা জনমে-
চাইলে পারে পাবে তাঁরে- নিষ্ঠাবান হলে -ভবের আশ্রয়ে।


তাইতো বলে শান্ত মনে- কেঁদোনা -বৃথা ভ্রমর ভ্রমরে-
কাঁদলে পারে মিছা হবে- রক্ত বারি -নদী হতে সাগরে,
সমুদ্রের ওই ঢেউয়ের মাঝি- ধারায় -কি আর শয়ে-
তোমার জন্য বসে আছে- হাত বাড়িয়ে -ভবের আশ্রয়ে।