ওই যে জয় শিশুর ভূমিষ্ঠ হয়-
শুনিতে পাই কান্নার ধ্বনি বিশ্ব জয়,
খবর কী পাও জয় ধ্বনির বলিষ্ঠ মাএ-
রক্তে ভাসাও কান্না হাঁসি ভারতের পত্র।
ইঙ্গিতে কহে শিশুর পত্র সর্ব যাহা-
ইশারায় বলে ভারতের পত্র বিন্দু তাহা,
বোঝেনি কেহ শিশুর বাক্য একচুলো-
বুঝেছি মেয়ো ভারত বর্ষের সর্বটুকো।
মানুষ মানুষকে দেখে শিক্ষা নয়-
পশুপক্ষী জীবপ্রাণী প্রাকৃতিক পৃথ্বীর সৃষ্টিচয়,
বৃক্ষগুল্মী জগতি অপ্রাকৃতিক সৃষ্টি জীব নিলয়-
আজও স্বদেশ দিতেছে বলি পরদানি সদয়।
যুগ যুগান্তরে সহস্র বলিদানে পেয়েছে স্বাধীনে-
সিন্ধুর জয়ে অজস্র প্রানহাঁকে বসতির কোলে,
রণভূমে আজও ত্রাণ কাঁদে পদধূলি হয়ে-
হাড় কঙ্কালে ক্ষতবিক্ষত রক্তবারি দেশের তরে।
ওই দ্যাখো আগমন তুফান জোয়ার সনে-
বিদেশি দেশে স্বদেশি পতন ভাঁটার গমনে,
জাগো রবি অগ্নি পবন-রূপে সলিল তেজ্ বেগে-
দ্যাখো মা-কাঁদে মায়ের আঁচল পেতে দেশের তানে।
কাল কালান্তরে দেশদ্রোহী ও বিদেশী শক্তিরে-
করিব তাঁর নাশি রবনা থাকি নীরবে জীনকড়ে,
যতই ভাসুক রক্তবারি থাকিতে প্রাণ করিব গ্রাস-
ততই শিখুক দেশভক্তি রাহিতে মান দেশের হবে ইতিহাস।