দেশের অন্তিম ঠিকানা চিত্রা-
সীমান্তের বর্ডার বর্ডারে ঘেরা।
সবে শত্রু মিত্র ঘনিষ্ঠতা,
পল্লী হতে ভীম পল্লীতে বিচিত্রা।


স্বদেশের গন্য বন্য পরিচিতা-
বিদ্যায় জ্ঞানে অজ্ঞানে লিপা।
শিক্ষায় জ্ঞাতে অজ্ঞাতে ভিন্ন বৃক্ষা,
ভূমের উপমায় চিত্র-বিচিত্র বিভিন্ন্ গুল্ম লতা।


স্বয়ং-এ গাত্রে দৃঢ়ে ঝোলে গাণ-
দেশান্তরীর গ্রাসে দেশ রক্ষার প্রাণ।
শত্রুর ত্রাসে ন্যায় নির-ন্যায়ে রণের বাণ,
দেশের বান আপন বাঁচাতে ত্রাণ।


শিক্ষায় অশিক্ষা দ্বন্দ্বের রণতান-
দেশে ব্বলে হীন ব্বলে ছোটে যুদ্ধের গান।
ভ্রম বুঝনা মোরে অজান্তে পরিত্রাণ,
জান্তে করো মোরে ক্ষমা দান-
তব সবে মার্জি করো- তম মম সম মান।


পৃথ্বীর ধুলায়ে খোদিত শত বলিজান-
ধরায় ধূলিতে ধুলিকণা অজস্র ত্রাণ মনো মিলান,
ধরার বিখন্ড ভূমে সহস্র রক্তের নদে বিরাজমান-
ভূমন্ডলে ভূমির মাঝে খন্ড অসংখ্য বায়ি -প্রাণ।


স্বদেশে ভাসে শ্রুতি বাক্যে- মঞ্চে আসরে-
স্বনিজ কার্যে মাতি সিদ্ঝে- সত্যটুটে মিথ্যা বাক্যে।
দিবাদিনে পথে'ঘ্যাষে,নিশিরাতে ভাগারে আহার খোঁজে;
জোঁকরূপে পক্ষীর সাবোকে হানে, দেশে স্বরাজ করে।
যেন-' বাঘিনী বাঘের সাবক চাহে ভক্ষের ত্মরে,-
        আপন কি পর ক্ষুধার সুধা তানের টানে।'


পটভূমিকায় যাঁরা- স্বদেশ পাকে্ ফ্যালে তাঁরা-
আদরিকায় যাঁরা- আপোষ হীনে আঁচরে তাঁরা।
আসিতেই খাঁড়া- আপন জীনে তুলিছে খরগা;
চকিতেই রক্তা- স্বরাজ ভাসে রক্তরক্তিতে পাঞ্জা।
যেন-'স্বাধীন ত্মরে দেশের তাজা রক্তের প্রাণ চাহে,-
      সুখবিনে স্বদেশের জীবন্ত ত্রাণ হানে প্রাণপণে।'


ঈগল রূপে আসিছে  স্বরাজি-
স্বার্থ কড়ে করিতে রাজ করি।
বেঙ রূপে ধরিছে টুঁটি,
জীবন্ত মারে তোষিতে রক্তি।


হরিণ সেজে কর্ক রূপে ভরিছে স্বরাজ-
দুষ্কৃতীর সাজে স্বদেশে আঁচে সন্ত্রাস।
তাজা রক্তে চোষে- দেশে জীবন্ত প্রাণে;
স্বাধীন ত্মরে তোষে -তাজা প্রাণ হাঁকে।


ভূমিকায় যাঁরা বৈঠা করে- তাঁরা নাশের পাত্র গড়ে;
দিবানিশিয় চাঁন্দ ওঠে- বিশ্ব দেশের মিত্র স্মরে।
দেশেদায় যাঁরা বৈঠা টানে- তাঁরা দেশের চির হাল ধরে;
মিত্রতায় যাঁরা শত্রুদ্বারে- তাঁরা শত্রুতায় মিত্রদ্বারে।
যেন-'মিত্রর সনে শত্রুকরে-শত্রুর সনে মিত্রকরে,-
       দেশ বিশ্বের মাঝে -মনুষ্য দয়ে।'


দেশের মাঝে দেশি নির-দেশি ঘোরে-
দেশ-সমাজ-সম্পদ-সিন্ধু লুটি বার ত্মরে।
তাঁরা মানস রুপে চরে- অমানস রূপ ধরে;
তারাই দেশ দেশান্তরে- রণের স্বরে উচ্ছ্বাস করে।
যেন-'পূর্ণিমার চাঁদ- অমাবস্যা তিথির অপেক্ষাতি,-
       অমাবস্যার রাত- পূর্ণিমা তিথির অপেক্ষাথি।'


১৯৪৭বঙ্গাব্দ১৫আগস্ট পূর্বে করেছে ঝঞ্ঝার হালে বিকল;
দেশকে করেছে শূন্যতায় অনন্ত রক্তের শিকল।
রক্ত মাংস শূন্যতার অন্তিমে হাড় কঙ্কাল সম্বল;
১৯৪৭খ্রিস্টাব্দ ১৫আগস্ট পরেও স্বরাজ চাই শেষ বহাল।


দ্যাখো বসতি মাতৃ! একদিন ভ্রমের মাশুলে জননী কাঁদিবে-
দাতা-ধরনী দেশবাসী আঁখি ভরা রক্তের জলে ভাসিবে।
যেদিন ভ্রান্তের কবলে অমর ভাগ্য চ্যুতি খুলিবে;
সেদিন জগৎবাসী নয়ন জলে অতিদূরে হতে ধরণীরে দেখিবে।


সাঁঝের চাঁন'তুমি সরণ-প্রতিসরণে,অন্ধতুটে জ্যোতিময় করো;
সমাজের ভান'তুমি ভাঙো,রুপে রূপে দৃষ্টান্তময় স্মরো।
পৃথ্বীর হস্ত ধরো সম্ অসম্,তব মনুষ্য'চাই চান্দের ফাঁদ;
সাধের চাঁন্দ তম ক্রদ, স্বরাজ করেছে আজ বিসাধের চাঁদ।