বক্তৃতি কেমন করে বলি মঞ্চে উঠি
আমিতো মুখ্য মূর্খ মানুষ মাত্রি,
প্রেমহীন মানব আমি ভালোবাসা কাকে বলে নাজানি
মাইক্রোফোন তো নারীর থেকেও অতি উত্তমি ধরণী।


এমন মানুষ সাজে নাকি মানায় আঙিনায় উথলি
দৃষ্টতি তুমি শ্রুত ব্রতি সত্য অসত্য উভয়ের বুলি,
তড়িৎ দেহি ভেদ অভেদ বোলি ভাসমান পবনে ধরি
ঝরিয়াছে পাতা যত্নে গড়া পত্রখানি পথের ধারে অলিগলি।


ধরিয়াছে কুড়ি পুষ্প মুকুলি দৃঢ় কোমল বৃক্ষ লতি
পথের নুরি কাঁকর চাহিয়া বলি ভুল ত্রুটি ধরো হে গুল্মি,
যেমনি শিখাইবে প্রাণী জীবী তেমনি শিখিবে জীব প্রাণী
কি ভালোমন্দ কি সৎ অসৎ নিন্দা অনিন্দার নির্বাচন আপনি।


ঘুরিয়াছে পৃথ্বী কালক্রমি সময়ানুপাতি সময় অতি ক্ষণিক
আসিয়াছে সঠিক সুধীতে ঋণ ভ্রান্তির মাশুল দাঁড়ায় পথিক,
বাহিয়াছে নদে সমুদ্র হতে সাগরে আরোহী বিরহীর সমতা মাপিক
চাহিয়াছে ভবিষ্যতের দিন বর্তমান দিনের দিকি সর্বক্ষণিক।


ভাসন্তী বরফ তুমি বারি হতে জন্মি সলিলেই মৃত্যু বরনী
যেথাহতে আসি সেথায় ভাসি বৃষ্টির রূপ আমি মানুষ   মাত্রি,
জন্মিয়াছ মানুষ তুমি দুর্লভ ভূমি জন্মিলেই মৃত্যু নিশ্চিতি
জীবন্ত যখন মানবরূপী রাখো তোমার বহন্তি মৃত্যুই তোমার বাহন্তি।


তাই গোয়েন্দা হিসাবে আমি ভাষণ দিচ্ছি
অগ্নির শিখা ভরিয়াছে দেশে অফুরন গতি,
বহ্নির ফুঁরি লাগিয়াছে বিশ্বে মানব সমাজের ভেরী
নিজেরাই পারো নিজেদের সমস্যা মিটাতে সর্বজনী।


আমি বেশ্যার দালাল হতে পারি তাই বলে বেশ্যাগিরি নাই করি
আমি ভিলেন হতে পারি তাই বলে কাউকে ঠকাতে বিমুখ করি,
আমি মিথ্যাবাদী হতে পারি তাই বলে সত্যের কাছে হার মানি
আমিই সেই অগ্নির কুন্ডলি স্বয়ং সাদৃশ্যে নিঃস্ব থাকি।


আমি রাজছত্র ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে পারি
তাই বলে রাজকার্যের সৎ নীতি বদলাতে নাইবা হারি,
প্রীতি স্নেহ ভালোবাসা মায়া মমতা দয়া পেতে নারাজি
আমি কিছুই দিতে নারি শুধু অর্থ দিয়ে অর্থের চাহিদা মেটাতে রাজি।


কাজী গান্ধী সুভাষ স্বামী সূর্য ভগৎ দিয়েছে রক্তে বলিদান দেশের প্রতি প্রতিদান
বিনয় বাদল দীনেশ ক্ষুদি ঝাঁসিরানী হাসিতে দিলো প্রাণ দেশ ভক্তির অবদান,
প্রফুল্ল প্রীতিলতা মাতঙ্গিনী রক্তে রাঙাই ত্রাণ দেশের রাখিতে মান
রক্তে রক্তে দিয়েছে কত শহীদ জীবন দেশ স্বাধীনতার সম্মান।


তাই শেষ বারের মতো বলছি এই সভার সবার সমাপ্তি
এই ময়দানে যেন আর কোনদিন কাউকে না ভেজদি,
মারামারি দাঙ্গা খুনোখুনি হানাহানির পূর্বে যেন ময়দানের মাঠ ফাঁকা দেখি
এটাই আমার শেষ উক্তি এবং এই সভার শেষ বক্তৃতি।