হে বসতি তুমি আছো কোথা-
আজোও আছি তোমারি পথ চাওয়া,
সেই তুমি গেলে নিরাকার বাসে।
কেমনে আছো নিরালায় উপেক্ষা-
মনে কি পড়ে সেই নীরব শিশু বেলা,
আছে মনে নব বেলা নাহি উপেক্ষাতে।


সূর্য উদয় পূর্ব বেলা নীলিমায় ঢাকা-
ভোরের কুয়াশায় পূর্ণা হীমে ভরা পৃথ্বীটা,
শুধু দেখি বসতি আছো পৃথিবীটা জুড়ে।
আমি আজও আছি তোমারি আঁশে শিশির ফোঁটা-
দিবানিশি দিনরাত্রি জাগি দেখি ধারাতে নয়ন রিক্তা,
রবির শিখায় নীলিমা জাগে বসতির বুকে।


ঈশানে মেঘ ভাসে ঢাকে গগনের সুন্দরে-
কুসুম রক্তের সোনালী সূর্য্য পড়েছে ঢাকা আঁধারে,
নিশিদিন পৌঁহায়বে দিনরাত গমনে নব প্রজন্মে।
একদিন ভূমিকম্প জাগিবে মনুষ্যের সমাজে-
সেদিন সুনামি ভাসিবে মানুষের সভ্যতার মাঝে,
আধারে আলো ভাসে আলোতে আন্ধার নামে নব জাতক জাতিকা জাগে।


সত্যকে ত্যাজো মিথ্যাকে নাশো পারো তুমি দেখাতে-
বসতি তুমিই পারো জাগিতে অন্যকে সব জাগাতে,
আছে ভালোমন্দ কতো সৎ অসৎ জ্ঞান ভান্ডার অফুরন্তো।
তুমিই পারো উদাহরণ দৃষ্টান্ত স্বরুপ অনুরূপ বিরাজিতে-
ন্যায় নিষ্ঠা প্রকৃত সত্যের জয়টিকাকে করায়ত্বে,
ভয় পরাজয় হারকে মান্যতা দিতে সর্বে জাগো।


নিয়োর জমেছে গাছ বৃক্ষ লতা পাতায় দূর্বা-
ধোঁয়াশায় ঘিরেছে পৃথিবীর বক্ষে আগ্নেয় হীনা,
ঈশানের গায় রামধনু কায় সাতারঙের বার্তা মনুষ্যত্বের দিশায়।
যে দিকেই তাকায় চতুরে ছায় দিক হতে দিগম্বরয়-
সজোরে বাসিয়া চলন্ত গতি তুমি মাঝারে পরিক্রময়,
স্বার্থ ত্যাগি নিঃস্বার্থ ত্যাজি বায়িয়াছো চাহি সর্ব দৃশায়।


পড়েছে আকাশ রবি শশী গ্রহ নক্ষত্র তারা মেঘে ঢাকা-
ঝোড়ো বয় এপার হতে ওপার দিক হতে দিগন্তর সর্ব পৃথিবীটা,
নীড় হারা পক্ষীর কান্না শুনে বিপর্যয় বিপর্যস্ত মোকাবিলা করে।
চমকায় বর্জায় ঝলসায় ঝমকায় বজ্র-বিদ্যুৎ প্রকৃতির  সৃষ্টি ধারা-
মানুষ কী বুঝেছে মান-হুঁশের ব্রতা সমাজ সভ্যতার বার্তা,
চতুরে ভরেছে পৃথ্বীটা ন্যায় নিষ্ঠা ভ্রমে অন্যায়ে অন্যের প্রমুখে।


তুমি কি পারবে না বসতি; অন্যায়ের প্রমুখ রক্ষতি-
তুমিই পারবে মনুষ্যকে রক্ষীতে নব প্রজন্ম জাতক জাতকি,
কষ্টিপাথরে যাচিতে পারবে তুমি মানুষকে মনুষ্যের ব্যাস্ত জীবনে।
বয়িছে পবন অগ্নিতে বারিতে বারিছে গগন-
হাঁকিছে নিশান গমিছে পত্রের আলো আগমন,
জ্যোতিতে আলোড়ন বহ্নিতে শিশিরাঙ্কের জ্ঞাপন চাহন ভূমিতে।


যদি করো জাগরেণ আহ্বান-
মুছে যাবে সমাজের বলিদান,
হে বসতি সর্ব তোমারি দান।
ঘুচে যাবে মানব সভ্যতার অবসান-
হে বসতি সর্বস্ব তোমারি অবদান,
ঘোচাও আছে যতো কলঙ্কের যামান।


হে বসতি তুমিই আছো ধারণে-
তুমি বাহনে তুমিই আছো চারনে,
তুমি অগ্রে তুমিই আছো পশ্চাতে।
তুমি ধরনে তুমিই আছো ফলনে-
তুমি উখানে তুমিই আছো পতনে,
তুমি জন্মে তুমিই আছো মৃত্যুতে।