নদের পদ্মে টলোনী বারি-
বাঁচি কিনা বাঁচি সমুদ্রে বায়ি,
গমনে থাকি মান-হুঁশের মাঝি-
চলনে হাঁকি শিক্ষনে ধাত্রী।


আমি ধাত্রী জননী মাতা মাতৃ-
বিরহী দাতা দাত্রী অবলম্বন ব্যপ্তি,
মাতৃ ভবন সৃষ্টি পারগতা ধরিত্রী-
কৃপার্থী মহত্ব মহতি সামর্থ্য জ্ঞাতি।


বিছায় আঁচল দানি বক্ষে ধরি স্বার্থ হানি-
নগণ্য বসন ধারী মর্ত্যে মাগি লাবণ্যময়ী,
বিলাই ভক্ষণ রুপি দুগ্ধে রক্তী সুধামৃতী-
বিকায় ক্ষরণ মুক্তি ত্রাণে রক্ষী সর্ব ত্যাগী।


মাতা তুমি ধাত্রী পৃথ্বীর জননী -
দাতা কূলি দাত্রী সৃষ্টির দানত্রী,
স্রষ্টাই পূর্ণি চাহি ক্লান্তির নাশক্তি-
মিত্রায় চূর্ণী নাশি ভ্রান্তির দহনকারী।


আজও মাতৃ নতজানু -উচ্চশিরে পদতলি-
বিকাও মুক্তি পরজাতু -ক্লান্তির ক্রান্তি বহন ধারি,
ফিরাও শক্তি কড়বাহু  -ত্রাণ্তির ধ্বজা ধারি-
বিলাও ভক্তি বীরজানু -শান্তির ছত্রা ধরি।


শিখাও নিজস্ব সুদূর সীমান্তে তেপান্তর-
দিখাও বিদ্রোহ চিত্তের জাগরণে রুপান্তর,
মিলাও ছত্র সৃষ্টের বাহরণ চিত্তে স্মরণ-
বিছাও নেত্র কৃত্তের দাহরণ মিত্রে বরণ।


জঠরে ধরি দশমাস দশদিন-
রক্তের রুপি দুগ্ধ সুধা অমৃতি,
দেশক্তে মরি জগৎ রক্ষতি মাতৃ-
শেষউক্তে বলি জান ত্যাগী ধাত্রী।


নারী বীনা শিক্ষা ভষ্মি -
ধাত্রী হীনা নাই গতি,
মাতৃ ভক্তিই সর্ব শক্তি-
জননী মাত্রিই শিক্ষার অস্ত্রি।


ধরনী জগতের অধর অনির্বাণ মুক্তি-
ধরিত্রী সৃজনের অমর সর্বত্রাণ অস্তি,
যুগ হতে যুগান্তরে স্ববল বায়ি -
কাল হতে কালান্তরে স্বয়ং ধায়ি।


আমি ছায়া বৃক্ষের আঁচল দানি-
আমিই জীবন মরণের অংশ কারি,
আমি আঁধার রাত্রের আলো দিশারী-
আমিই চলার পথের প্রতীক দ্বারি।


আমি ধাত্রী -শিক্ষার অগ্রগতি-
আমিই মাতৃ -ভাষার সৃজন কারি,
আমি জননী -শিক্ষায় সৃষ্টি দায়ী-
আমিই ধরনী পীড়ায় ক্লান্তি নাশিনী।


বিকার প্রতিষ্ঠা হতে পীড়ন মূর্ছিত প্রতীক-
বেকার সচিত্রা হাতে দেশন উদঘাটিত পতীক,
শীকার রণক্ষেত্র রক্তে লালিত দেশ ভূমি-
স্বীকার তাজা রক্ত নীড়ে চকিত দেশবাসী।


আমি নিঃস্বার্থি -দেশ স্বার্থে গামিনী-
আমিই পরস্বার্থি -সুখ দুঃখে ভাগিদারী,
আমি দেশরক্ষি -স্বার্থে নিঃস্বার্থে জীবন ত্যাগী-
আমিই সর্বধাত্রী -ন্যায়ে অন্যায়ে প্রাণনাশী।



((এখানে 'আমি'বলতে 'আমিই' বোঝানো হয়েছে-
   এবং'আমিই'বলতে 'ধাত্রী'কে বোঝানো হয়েছে।))