মানুষী কোথা যাও
পশ্চাতে ফিরে তাকাও,
অগ্রসর হতে ভেবে নেও
অনটন থেকে থমকে দাঁড়াও।


নামিছে অন্ঝকার বিষাক্তের আঁধার
কাঁদিছে হাহাকার ক্রন্দরতার আহ্বান,
করিছে আর্তনাদ সিদায় চুরান্ত পথ
সিদ্ধান্তের পথ দেখায় নিঃস্ব অনাথ।


দিবাকর ঊর্ষি অচল রাত্রী বিহ্বল ধ্বনি
নিয়েছে ছিনি ভাগারের রাত্রি সোনালী রুপের রশ্মি,
দিয়েছে বিনি কালের নিশি অনটন বায়ি চন্দ্রকে ধায়ি
খাড়ায় পথিক ঘণিয়েছে হানি পথ হতে বিপথে গামী।


কোথা যাও মানবী
একটু দাঁড়াও স্বয়নী,
ভেবে ধাও অগ্রগুণী
বর্ত হতে আগমনী।


দেহ মন প্রাণ পূর্ণ হতে শূন্য নেই ফাঁকা;
চিল কাক শেয়াল শকুন রুপী নিষ্ঠুর মানবতা,
হৃদয়ে রাখিতে মানবিকতার বার্তা
আঁধারে ছাওয়া অন্ঝকারের ছায়া।


তাজা প্রাণের রক্ত মাংস ছিড়ে খায় ওরা;
জীবন প্রাণ নষ্টে মত্ত বড়ো ব্যস্ত তাঁরা,
মোনে বিষের ধারা বদনে মিষ্টি বার্তা
চিত্তে শুধু ভরা বিষাক্তের ফণা।


মানুষ বড়ই একা
জ্ঞানে ভরা আন্ধারের কায়া,
দিবায় কান্দে আস্হা ত্রাণে
রক্তে ভাসে রাত্রের কাঁধে।


দেখা যায় কতগুলো শিরা
নেরীকাটা মানুষের মাথা,
বদ্ধের ইশারা অন্ধের দিশা বোবার কন্না
রক্ত মাংস খাদ্যের রুপী তাদের হৃদয়ের আত্মা।


তুমি কোথা যাও
একটু ভেবে নাও,
অগ্রগতির বার্তা
মানুষিকতার কাড়া।


কোথা যাও তুমি
ফিরতে নাই দেরি,
দাঁড়িয়ে স্বার্থন্বেষী
হিংস্রের রূপধরী।


কোথা যাও
রুখে দাঁড়াও,
সহসে খাড়াও
মানুষের মত মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াও।


কোথা যাও!
কোথা যাও।