অন্ধ-আলো করে ঠিক-
বেঠিক-সঠিক- পথিক,
আলো-অন্ধ করে ঠিক-
সঠিক-বেঠিক- পথের পথিক।
ভানু শশী ঊষা রবি-
গ্রহ তারা নক্ষত্র জ্যোতি,
উদয় অস্ত সময় পরিক্রমি-
দিবানিশি দিনরাত্রি ধার্যকরি।
ভেদাভেদ নাই জাতি অভেদ মানুষি,-
করিছে পৃথক্ স্বার্থন্বেষী পার্থক্য ধ্বংসাশী।
সময় বিভীষিকার মতো ছানিদেয় মরীচিকা স্তূপি,-
সুদূর দূর্গম আরবার জীবন্ত মৃত দেয় পাড়ি-
নেই কোনো রক্তের সম্পর্ক সময় সাথী।
নেই মাংস টুকরের গন্ধ,-
নেই পরিচয় স্পর্শের ইস্কন্ধ।
নাইকো বালাই কিবাতার আসেযায়-
হাইগো বাঁধন ব্যাচার মতো অবলায়।
ছুটিয়াছে পথ ট্রেন যানবাহন জার্নিতে,-
পেয়েছো কি অবশেষে পথ নির্শেষে!
ঘুরিছে চক্র অনন্ত জীবন ধরে দুর্গম দুর্জয়ে,-
কাল হতে কালের কালান্তরে,যুগ হতে যুগের যুগান্তরে।
জাগিছে অতুল অসীম পুনঃপুন চলন গম পথে,-
সুখ শান্তি ভ্রমে ক্লান্তি ক্লেশ বরংবার বিশ্বাস হীনে।
সৃষ্টির স্রষ্টা শ্রষ্টত্ব বহে সৃষ্টির চয়ে,-
পথের পথিক চাহে সিধা বক্র দিশারীর রচে।
দিয়াছে দিশারী সঠিক পথের পথিক,
দাঁড়াইয়াছে দ্বারে নিশায় মত্ত বিষহাতে মদ্যিক।
দিতেছো প্রলেব সমাজে মনুষ্যত্বের লিহন তানে,
রাখিছো ভূমির তলে ভুমি হাঁকিছো চিরন্তন বাণে।
বসিয়াছো পানে পুকুর পাড়ে চাহি তটের বুকে,-
বাহিয়াছো ওছিলার বাগে বৃথা আলেয়ার পশ্চাতে।
জীবপ্রাণী স্তন্যপায়ী সরিসৃপ্পায়ী জলস্থল প্রাণী-
উদ্ভিদ বৃক্ষ লতা গুল্ম গুল্মী সর্ব প্রাণ্ত্রাণ জীবনী,-
পরনির্ভর স্বনির্ভর বিস্তারি সর্ব ভোগী ত্যাগী!
পথের পথিক বায় পথিকী,পথিক ধায় পথের পথিকী।
হাঁকিছে ঈশানের আলো বিদ্যার পারত চূর্ণ-বিচূর্ণ,
পাতিছে নক্ষত্রের জ্যোতি জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলে উজ্জলো।
কেনো ছারো হাল ধরোএকবার চেষ্টায় সমাহার-
হ্যালায় হ্যালে হ্যাংলামুতায় গাফিলতি বাড়ে-
কর্মই-ধর্ম ধর্মই-কর্ম সবকিছু তাঁর সমসার।
পৃথ্বীর পথিক তুমি সর্ব বিস্তার,-
যাকিছু আছে-যাবে হচ্ছে-হবে সবকিছু একাকার-
পথের পথিক সবাকার।
দেখো পথিক খাড়াইয়াছে ডাকিছে পথের দিশারীক,-
চলিছে অবিরামে স্থান হতে স্থানান্তরে পথের পথিক।