আমি ছিলাম স্বর্গের পারস্পরি -মেঘ রূপে ধরি,
ঠেলে দিল কোন বিধি- ঘণি অজান্তে আমি।
              পৃথ্বীর পাড়ে হেলি-
              বিরাম হীনে বিরহে চলি।
সাদা মেঘে কালি মেখে- বাষ্পি থেকে ঘনীভূত হতি;
দিল মোরে বারি রুপে -ধরার মাঝে ফেলি।


সাধারণ ছেলে ব্যাধি আমি -করিছো মোর সনে ভন্ডামী;
পুঁজি দিতে নাই পারি- দেখিছো মোরে অবহেলি।
            চোর চুরিতে ভৈরবী প্রভাতের রবি-
            পৃথ্বীর ভূমি ধরণী কোলের ক্রদি;
তুমিও তো সাজ দেবী- ধাত্রী মাতা জননীর ধরণী;
নদীতে পদ্ম ফোটে জানি -পাপী কোলে পদ্ম ফোটে ছিল অজান্তি।


মানী দিতে যে পারগতী -সে মানবী তম আঁখি রবি;
অর্থ পুঁজিতে যে গোমতী- সে মানুষি তম ভবিষ্যতি।
         আমি হলাম অপুঁজি অর্থ হানি মানুষী!
         হয়েছি কাজী আমি তম পদের পদাঘাতী।
যাহা বল্ কর্নে শ্রবণ করি- ঝুঁকি প্রাণে কর্ম করি;
ব্যাধি আমি চিকিৎসা হানি -বসতির পাতা গুল্মে বাঁচি।


আমি রচি লিপি -দিতেছে গাল গালাচি আপন জনি;
কেঁদোনা লিপি- আমি রক্তের স্বাদি্ শির সর্বাঙ্গে ভাসি।
    দিবারাতি জাগ্রতি আমি আঁখি বারিতে রচি।
    করো মাপী আমি তাঁর হতি তম পদে ক্ষমার্থী।
পেরেছি কি রসালো কাব্যি লিখতে- মুক্ত ছড়াতে? পারিনি আমি তানের দ্বেষ কন্ট ফেলিতে -সিক্ত ঝরাতে।


রচি লিপি দিবানিশি -জাগ্রত আমি,
ধাত্রী তুমি করিছো প্রণামী- মঙ্গল অমঙ্গলী-
          দেবতার আসোনে ভন্ডামি।
          পতির পদচটি হল আজি-
তোমার মস্তকি- স্বর্গ দেবতার শির মুকুট নয়ন মনি। আমি হলাম আজি -দেশের ব্যাধি কুলাচারী।


ছিল এক মেধা ছেলি -দিলে তাঁর প্রতি দরদী-
দিল সরস্বতীর পূজারী- মিষ্টি মিঠাই কত আমদানি।
       আমি ছিলাম ক্ষুদ্রাতি তাই সামান্যি!
       সরস্বতীর পদধূলি মোর শিরে ধরি দূর হতি।
সরস্বতী আছে বিশ্বজুড়ি- চলে সর্বব্যাপী মাতা জানো কি?
করিছো ধাত্রী কর্তব্য পালনে হানি -ছ্বলে তুমি চরিত্র হানি।
যেন-'শত নারীর শত রুপ/রূপ,-
       ক্ষত নারীরও শত রুপ/রূপ।'


পূর্বাকাশে আধো অর্ধ ঝাপ্সা -পূর্ণ গোলাকৃতি শশী;
উচ্চাকাশে ঊর্ধ্বে অর্ধে মাতি- ধরার মাঝি আলোক জ্যোতি।
      পশ্চিমাকাশে টিপ টিপ করে মৃদুস্বরে মৃদুস্মরি-
      অর্ধস্মরে জ্বলে কিনা জ্বলে তারা রাশি।
দ্যাখো বসতি সময় বুঝি- দেবে কর্ম খ্যাতি,
নিজো জননী ফেলিছো মরি -ভেবে বনো বনস্পতি।


পিতৃ মাতৃ তুমি নিরক্ষরী -কলম ভাঙ্গা শিক্ষার্থী;
অংকে ইংলিশি শুন্য শুন্য পাই আমি- বছর বার্ষিকী।
           আমি-'শিক্ষার দীক্ষা চাই,-
                   শিক্ষার ভিক্ষা নই।'
করেছো কি জ্ঞানী ধ্যানী?- প্রকৃত শিক্ষার পাত্র হানি আমি।
গমনে স্থান হতে স্থানন্তরি -তবুও ব্যর্থ আমি।


চেয়েছি অজুহাতের অনুনয় -পেয়েছি ব্যর্থচয়!
করিছে ছিলায় অভিনয়- মোর সহিত মনুষ্যদয়।
          স্বয়ংগামী আমি ধাবিত দূরগাঁয়-
          প্যান্ডেল গড়ী দিবারাতি স্বয়ং পীড়ায়।
দেখিছো মোরে দৃষ্টিহানির ভানে- দূরগাম্য আমি অসহায়;
চাহিয়ো দূর হতে দৃষ্টিপাতে মোরে -দুর্ভাগ্য যেদিন খুলিবে আমায়।


যেদিন ভাগ্য খুলিবে আমায় -প্রণাম লহ্ বসতি পাদুকায়;
সেদিন মাতৃত্ব দেখিবে তোমায়- প্রণাম নিয়ো ধাত্রী পদ-যুগলতায়।
       চাহিবো আমি রক্তঝরা আঁখিতায়-
       চকিবো রক্তমাখা অশ্রুধরায় নয়ন তারাই।
সাধারণ ছেলে বলে- পৃথ্বীর কেউ কাউকে দেখোনা অবহেলায়;
আপন মনে দেখিবে -নিজগুণে সর্বত্রে সর্বময় সর্বদায়।