বিভীষিকায় অঙ্কন খোদিত লিপি,
সহচরে গুপ্ত গচ্ছিত পান্ড অন্তমাঝি।
যেরূপি পূর্বে রক্তিম কম্পিতে সূর্য উদয়,
সেরূপি পশ্চিমে রক্তাল কম্পনে রবি বিদায়।
সত্যমের লয়- সত্যের চয় সত্যের বিকাশ,
ভ্রান্তের নয়- দ্রোহের চয় সত্যের প্রকাশ।
দিবানিশি বার্তা বেশভূষা বেশভেকি ময়দান,
দিনরাত্রি বক্তা দেশদশা অন্তগুপ্তি স্টেডিয়াম।
দিবায় চন্দ্র জাগে দিনে শশী অস্তে,
দূর্বায় ভন্ড কড়ে নিশিতে টুটি ধরে।
গলে মাল্য কড়ে বালা অন্তরালে চটুরতা,
বদনে ভান্য কর্মে বৃষা পশ্চাতে মৃত্যুশিখা।
পৃথ্বীবে ভূমিষ্ঠ শিশু আজ চিৎকার,
কড়েতে বিচিত্র আর্তনাদ ন্যায্য অঙ্গীকার।
রক্ত মায়ের বক্ষ ভেঁজে শিশুর গাত্র ত্যাজে,
প্রাপ্ত গাঁয়ের চিত্র রেখে ভূমির পাত্র স্বাধীনে।
রণঝঞ্জা নয় যুদ্ঝের ড্যারা অবক্ষয়,
বেশভূষা চয় মুক্তির পীড়া চিরন্তময়।
সীতের সিঁদুর গ্যাছে কত লুপ্ত অবলুপ্ত,
ভীটের সিন্ধু হাঁকে ক্ষতবিক্ষত বিলুপ্ত।
সিন্ধু মধ্য কলি বাকি চরণ ধূলি,
বিন্দু বহ্নির ফুঁরি রক্তাক্ত সিকি বুলি।
আন্ধার হতে অন্ধতুটে পত্রলিখন,
ভান্ডার শিকল নির্মল হাতে স্বার্থপীড়ন।
শিখান্ত পত্র লিখন জ্ঞাত অজ্ঞাত দাহন,
দৃষ্টান্ত গাত্র গিড়ন কান্ড চিরন্ত কারণ।
ঈশানে দশদিশি তারা জাগে সারারাতি,
বিছায় উল্কাপাতি গ্যাসে ক্ষণিক মাত্রি।
মত্ত স্বার্থের কড়মুষ্টে নিষ্ঠা ব্যস্ত,
ভন্ড লুটের হাড় কঙ্কাল উচ্ছিষ্টে মিথ্যা ব্যক্ত।
আন্ধার লোকে আলোক প্রাতে অন্ঝআলো খিল্ললে,
হারজিতের পাঞ্জা লড়ে কড়ে দৃষ্ট অন্ধ হিল্লোলে।
সারানিশে উচ্চশির নত করে ঈশান কোণে,
টাচিলে নাতে নতশির বাক্ মারে সূর্যলোকে।
বিহান হতে বিহানেস্মরে খাড়ায়াছ দুয়ারে,
পাবে কিনা পাবে আহারে একমুঠো পানে।
কাতরায়াছ অন্নের বিনে ক্ষুদার্থ হাঁকে,
আর্তনাদে তবু কি পেয়েছো সুধার অন্নকাড়ে।
দেশদ্রোহী দমনে চলন কী বিচার?,
গণতান্ত্রি গমনে পশ্চাতে স্বার্থ বিকার।
যুগ হতে যুগান্তরে আসিছে ক্রাশ -গ্রাসে দাস,
কাল হতে কালান্তরে ভাসিছে নিরাশ -দাসে গ্রাস।
সত্যমের লয়-সত্যের চয় সত্যের বিকাশ,
ভ্রান্তের নয়-দ্রোহের চয় সত্যের প্রকাশ।