তুমি না’ই ফিরলে আমার টানে,
সেদিন এস আগরবাতির ঘ্রাণে;
যে ছিল তব প্রাণের চেয়েও প্রিয়,
তারে অন্তিম দেখাটা দেখে নিও।


যদি হয় মোর মৃত্তিকাতেই কবর,
দুমুঠ মাটি দিও একটু করে সবর;
যত মায়া-টান সাজিয়ে থরে থরে,
মম সনে দিও মাটিচাপা চিরতরে।


শুনাব না আর ভালোবাসার বুলি,
মৃত্তিকাতে মিশে হব তব চরণধুলি;
তব তৃষ্ণা যে মম আজন্মকালের,
ভালোবাসাটা জমা অনন্তকালের।


তাই তোমায় চাই বেঁচে বা মরেও,
ভোলার নয় জীবন গেলে ঝরেও;
বেঁচে থাকতে না’ই বা মোর হলে,
আসবে তো এই দেহ নিথর হলে?


কত গল্প রয়ে গেল বাকি বলার!
হয়ত বলা হবে না কখনো আর;
ডাকব না কভু নাম ধরে তোমার,
করব না স্তব তব সৌন্দর্য উপমার।


করব না কথা বলার আবেদন,
করব না ফিরে আসার নিবেদন;
অভিমান শুধু নয় তোমার শানে,
আমিও যে হারাব চির অভিমানে।


যদি ডাকে তোমায় দুরন্ত বাতাস,
বুঝে নিও বন্ধ আমার এ নিঃশ্বাস;
যদি গো দেখ ভীষণ বিষণ্ন আকাশ,
বুঝে নিও এ আমি হয়ে গেছি লাশ।


যদি বজ্র হানে গগনে মেঘের দল,
বুঝে নিও ঝরে কোথা গোলাপজল;
যদি দমকা বায়ু নিভায় মোমবাতি,
বুঝে নিও জ্বলে কোথা আগরবাতি।


তখন ছুটে এস জনম দেখা দেখতে,
আর এক ব্যর্থ প্রেমে ইতি লেখতে;
তুমি না’ই ধরলে আমায় তব প্রাণে,
আসবে তো ঠিক আগরবাতির ঘ্রাণে?


রচিত: ০৫ আগস্ট ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।