আমি সেই কবিতাতেই হারাতে চাই,
যেই কবিতাতে আছ তুমি;
আমি সেই কবিতার কবি হতে চাই,
যেই কবিতাতে বাঁচ তুমি।


আমি শুধু সেই কবিতার শৈলী বুনি,
যেই কবিতার ছন্দ তুমি;
আমি সেই কবিতার ধ্বনি হাতড়াই,
যেই কবিতার স্পন্দ তুমি।


আমার কাব্যে হয় যত বাক্যের ঠাঁই,
তোমার সূত্রেই সব গাঁথা;
প্রতিটি মাত্রা প্রতিটি সর্গ উপসর্গে
তোমারই মৃদু আচ্ছন্নতা।


তুমি বিনা যত রচি, —হয় না রচন,
যত দিই ছন্দের বন্ধন,
হয়ে যায় প্রবন্ধ আসে না কাব্য-গন্ধ,
ওঠে না কবিতার স্পন্দন।


কাব্যের অনুজগতে যত তাল-লয়,
সবই যেন ঘিরে তোমায়;
যদি দেখি ভাবসিন্ধুও করে সিঞ্চন,
তোমার বিচরণ সর্বময়।


তুমিই ভিত্ তুমিই অতীত-আগামী,
তুমি যে ছন্দের হিমালয়;
তুমি কবিতার স্পন্দন হয়ে করেছ:
আমার পৃথিবী কাব্যময়।


রচিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১; কবরস্থানপাড়া, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ।