এ আকাশ-বাতাস এ জলধারা,
ব্রহ্মাণ্ড মহাশূন্য চিরে গ্রহ-তারা
উঠিয়াছি আমি একাই কোনো মাতৃউদর ছাড়া।


আকাশ মাটির সঙ্গমের উদ্যান
মোহিত করে যে ভ্রূণ প্রবাহমান,
সেই ভ্রূণে জন্ম আমার আমি প্রকৃতির সন্তান।


আমি এ জগতের চির ছিন্নমূল,
হানব ধরাধামে এক ভিন্ন শূল,
আমি ভিন্ন নিয়মে হয়েছি অবতার ভাঙতে ভুল।


আমার সত্তায় প্রকৃতির শক্তি,
আমাতে বিরাজ শুদ্ধ অনুরক্তি;
অশুদ্ধের প্রাচীর ভাঙতে আমার চির আসক্তি।


আমার নাই মা-বাবা বোন-ভাই
অশুভ দাঙ্গা তাই নির্মূলে দমাই
মায়া-ছল, দুর্নীতি-মল আমাতে যে পায় না ঠাঁই।


আমি যে প্রকৃতির নিয়ম খাটাই,
সুর অসুরের মধ্যে জীবন কাটাই,
প্রকৃতির চিরাচরিত বাণী আমার কলমে রটাই।


এ রটন লাগুক না যার অন্তরে,
ভাবুক না যার ইচ্ছে যেমন করে;
আমি আমার মতোই লড়ব প্রকৃতির সত্তা ধরে।


মানুষের ক্ষীন মস্তিষ্কের উৎসতে
যে মেকি বিধির উদ্ভব সর্ব-পরতে,
সে বিধির লঙ্ঘক আমি রচি প্রকৃতির উদ্যতে।


আমি পাই না কো ভয় মানবের,
আমি সৃষ্টি অমৃত মহা দানবের;
প্রকৃতি যার অবয়ব ভয় কী তার তুচ্ছ এসবের?


আমি নেমেছি ঊর্ধ্ব গগন ছেদে,
আমি উঠেছি নিচু মৃত্তিকা ভেদে,
আমাকে পারবে না দমাতে মানব অসত্যে বেঁধে।


আমি ছিঁড়ব শিকল অনিয়মের,
প্রতিরোধক হব যত নির্মমের;
প্রকৃতির ইশারায় আঘাত হানব ক্রূর সম্ভ্রমের।


কেননা আমি প্রকৃতির গূঢ় দান,
মানবতার ঋদ্ধে ঘনাতে পরিত্রাণ,
প্রকৃতির অবয়বে জন্মেছি আমি প্রকৃতির সন্তান।




রচিত: ১২ জানুয়ারি ২০১৯; আপনালয়, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।