আমি তো সেই প্রতিভাবান কিশোর কবি শুকান্ত,
তাঁর মতো ক্ষুদ্র জীবন পেলেও থাকব বেঁচে যুগান্ত।
আমি তো সেই বিদ্রোহী বীর কবি কাজী নজরুল,
তাঁর মতো বিদ্রোহ সাম্যবাদীর আমিও ফোটাব ফুল।
আমি তো সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ,
তাঁর মতো বহুমুখী প্রতিভায় পরিচয় দেবো জাত।
আমি তো সেই পল্লী-রবি পল্লীকবি জসীম উদ্দীন,
তাঁর মতো আমিও পল্লীর হব যেন দুঃখ-সুখের বীণ।
আমি তো সেই সাহিত্যদ্রষ্টা মাইকেল মধুসূদন দত্ত,
তাঁর মতো অভিজাত সৃজনশীলতায় মত্ত মনস্তত্ত্ব।
আমি তো সেই রসিক ছন্দরাজা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত,
তাঁর মতো রোমাঞ্চকর সৃষ্টির নেশায় হয়েছি মত্ত।
আমি তো সেই রূপবৈচিত্রে নিমগ্ন জীবনান্দ দাশ,
তাঁর মতো রূপময় প্রকৃতি আমায়ও যে করে গ্রাস।
আমি তো সেই মহাব্যক্তিত্বপূর্ণ লেখক প্রমথ চৌধুরী,
তাঁর মতো হতে বীরবল ধরেছি সাহিত্য-নাটাই-ঘুড়ি।
আমি তো সেই সর্বজনের প্রিয় কবি সুকুমার রায়,
তাঁর মতো বিচিত্র অবিজ্ঞতা বিদ্যমান মম প্রতিভায়।
আমি তো সেই কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,
তাঁর মতো গড়ব দিনেক আসন দুর্লভ জনপ্রিয়তায়।
আমি তো সেই সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,
তাঁর মতো অসামান্য কৃতিত্ব এ প্রতিভার অভিপ্রায়।
আমার তো সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জ্ঞানারণ্য,
সাধনা সিদ্ধির দৃঢ়তায় লক্ষ্য অটুট নৈকট্য বরেণ্য।
রচিত: ০২ জুন ২০১৫; নিজভবন, কৌটলীপাড়া, গোপালগঞ্জ।