যে আমার প্রতিটি গানের অন্তরা,
সে আমার বুকের অন্তরের অন্তরা!


দেহে যেমনি শক্তি যোগায় শর্করা,
তেমনি মম জীবনে জড়িত অন্তরা।
তুমি আছ, তুমি থাকবে, পরম্পরা,
তুমিহীনা আমি সর্বত্রই জীর্ণজরা;
একটু আড়াল হলেই লাগে মনমরা,
তুমি এ মনের মণিকোঠায় অন্তরা।


যে আমার কলমে কবিতার ধরা,
সে আমার আপাদমস্তক দখল করা;
তারে ছাড়া সন্ধি করে না ছন্দরা,
মিটে না অপূর্ণ সম্পাদকীয় দ্বন্দ্বরা।
তুমি কাব্য, তুমি শ্রাব্য, চরণ ভরা,
তুমিহীনা নিষ্প্রাণও যেন প্রবন্ধরা;
তোমা ছাড়া পূর্ণতা পায় না গ্রন্থরা,
তুমি এ বুকের চিলেকোঠায় অন্তরা।


যে আমার প্রতিটি মুহূর্তের বাঁচা-মরা,
সে আমার অক্সিজেনে মেশা অধরা;
যারে ধরতে লাগে না হস্তক্ষেপ করা,
সে আমার ভেতর চরা হৃৎপিণ্ড ত্বরা।
তুমি স্বপন, তুমি বিসর্জন, ধরা-সরা,
তুমিহীনা বসুন্ধরা যেন জর্জরিত খরা;


যে আমার যৌবন নদে ডুবন্ত সন্তরা,
সে আমার বক্ষে ধরা অন্তরের অন্তরা!


রচিত: ১১ নভেম্বর ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭