কাহারো মানা শুনিবে না চিনিবে না কদাচারী কে বা মহতী,
একই সূতো দিয়ে গাঁথা, উঁচু নহে কাহারো মাথা-
...এই তো নিয়তি!


ভব নদীর উত্তাল স্রোত-ধারায় জীবন যেন এক খেয়া চলতি,
উপরেতে বসিয়া মাঝি, করিছে নিয়ন্ত্রণ আজই-
...এই তো নিয়তি!


সুখ সুখ করিয়া কেহ চলে সদা কাঁদি কেহ স্বয়ং সুখজ্যোতি,
কাহারো সুখ যেন দুখ, কাহারো দুখ যেন সুখ-
...এই তো নিয়তি!


সবারই জীবনে ভালোবাসা যেন এক উড়ন্ত-দুরন্ত প্রজাপতি,
কাহারো কাছে ধরা দেয়, কেহ চিরতরে হারায়-
...এই তো নিয়তি!


পাওয়াতে হয় কেহ বড় সুখী আবার কেহ বা হয় দুঃখী অতি।
এরই মাঝে জীবন কাটে, ভুবন নামের রঙ্গ-হাটে-
...এই তো নিয়তি!


না পাওয়াতেও ফের কেহ বা সুখী কেহ হারায় জীবন গতি,
ভাগ্যটা কাহারো হিতে, কাহারো ফের বিপরীতে-
...এই তো নিয়তি!


কাহারো কাছে জীবন মানে শুধুই আনন্দ আর নিত্য-রতি,
যাতনাস্পর্শ নাহি লাগে, জীবন কাটে অনুরাগে-
...এই তো নিয়তি!


কাহারো কাছে জীবন মানে হয়ে যায় যন্ত্রণার এক মহারথী,
করিয়া দুঃখকে বরণ, বহিয়া চলে আমরণ-
...এই তো নিয়তি!


দুঃখের দিন না কেটে কাহারো ঘৃণা জন্মায় জীবনের প্রতি,
কেহ সাধে মরিতে, কেহ ছোটে বাঁচিতে-
...এই তো নিয়তি!


রচিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৫; গোপালগঞ্জ টু ফরিদপুর চলমান বাস, বোয়ালমারী, ফরিদপুর।