একটি অপূর্ণতা, আর একজন তুমি,
আর আমার জীবন, সব কেমন বেরঙিন আজ;
অথচ এই অপূর্ণতা পূর্ণতায় সাজতে পারত,
আর একজন তুমি’র পাশে আমিও হতে পারত,
আর আমার জীবনটাও হতে পারত রঙিন।


কই তুমি অভিমানী? কত দূরে? কোন্ শহরে?
কতটুকু অভিমানের আড়ালে তুমি হারালে?
কতটা পথ পাড়ি দিলে তুমি দৃষ্টিগোচর হবে?
কতটা অশ্রু ঝরালে তুমি ভিজবে নয়ন জলে?
কতটা স্বপ্ন তোমায় দেখালে আবার তুমি ফিরবে?


তুমি আমার স্বপ্নীল হয়েও করলে পূরণ কার স্বপ্ন?
তুমি আমার কাব্য হয়ে কার জীবনে আনলে ছন্দ?
তুমি আমার প্রাসাদের রাণী হয়ে বন্দি কার রাজ্যে?
তুমি আমার সিন্দুকের চাবি হয়ে করলে ধনী কারে?
তুমি আমার দেহের ছায়া হয়েও কারে দিলে সঙ্গ?


আজ আমি আছি, আমার দেহও আছে, নেই ছায়া,
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে লয়ে আমার সব মায়া;
আমি ছায়াশূন্য, না চিনি আলো, না চিনি কালো,
দু’চোখের রেটিনায় পৃথিবী আজ ধূসর কেবল;
জীবন যে বেরঙিন আজ, একজন তুমিই কারণ।


আমি তখন করলেও করতে পারতাম বারণ,
করিনি, দিয়েছি সম্মতি তোমায় চলে যেতে,
কবিগুরুর সে কথা মনে করে: “যাকে তুমি ভালোবাস,
তাকে মুক্তি দাও, যদি ফিরে আসে তবে সে তোমার”,
নাহ্! তুমি আমার ছিলে না; তাইত এখন দূর অজানায়।


আমি তবুও বোকার মতো এখনো দাবি করি:
তুমি আমার ছিলে, আমার আছ, আমারই থাকবে;
পৃথিবীর মায়ায় তোমায় বাঁধতে ব্যর্থ হলেও-
পরমাত্মার জগতে ঠিক তোমায় পাবই ফিরে;
তবে আর করব না সে ভুল, যে ভুলের মাশুল শুধু তুমিই।


একজন তুমি যে আমার কতটা প্রয়োজন,
হারিয়ে সে উপলব্ধি করেছি, এখনো করছি,
জানি না আর কতদিন করব, কতদিন পারব।
কত রাত জাগলে আবার খুঁজে তোমায় পাব?
বলতে পার? বলো অভিমানী! নিশ্চুপ থেক না আর!


আর কতকাল একাই কথা বলে যাব?
আর কতকাল একাই এ বিষণ্নতা পোহাব?
বুকফাটা শত চিৎকারেও হয় না হৃদয় শান্ত,
কারণ একজন তুমিই যে আমার অনন্ত বিষণ্নতা,
একজন তুমিই আমার অপূর্ণতা, চির অপূর্ণতা!


রচিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ইং, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।