রাত্র ত্রি-প্রহর, সবাই যখন ঘুমের ঘোরে,
কবিতা তখন এল আমার কড়া ডোরে;
ঠক্ ঠক্ করে মনের ঘরে নাড়ছে কড়া,
আমি কালি-বিহীন কলমে জীর্ন-জরা;
বহুকাল হয়নি লেখা কবিতা, —মনমরা,
তাই আজ কবিতা নিজেই দিলো ধরা।


আমি দ্বার কপাট সরিয়ে দেখি রাত কই?
ঝলমলিয়ে উঠল দিবালোকের মতোই!
এত সুন্দর! এ কি কবিতা, নাকি পূর্ণিমা?
নাকি পূর্ণিমা-চন্দ্র স্বয়ং সেজেছে প্রতিমা?
এ তো প্রাণবন্ত প্রতিমা! আমায় ছুঁতে পারে,
নিজেরে চিমটি কাটিলাম, এটা স্বপ্ন নারে!


বুঝি কবিতার ভীষণ রকম ছুটেছে মন,
তাই মম টানে স্বয়ং কবিতারই আগমন;
এ যে কেবল কলম খাতার কবিতা নয়,
এ আমার বাস্তব কবিতা, জীবনের জয়;
একজন কবির জয়, জয়টা প্রেমিকের,
যে জয় কাম্য ভব সর্ব প্রেমিক পথিকের।


আমি তোমায় বড্ড ভালোবাসি কবিতা,
ব্যকুলতার নদে ভাসি দেখে তব ছবিটা;
আজ সব ব্যকুলতার অবসান-আসর,
আজ মনের ঘরে হবে কবিতার বাসর;
এ রাত্র জাগিয়া আমি মত্ত যে সাধনায়,
অভিমানী কবিতা তাই পেয়েছি তোমায়।


রচিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০: তৃতীয় ও চতুর্থ প্রহর, নির্ঘুম শয়নাবস্থায়, নিজ ভবন, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।