আমি স্বপ্ন দেখিয়া চাইলাম যারে,
কালক্রমেই যে হারাইলাম তারে;
আমার কোথায় যেন ভুল হইয়া যায় বারে-বারে,
হৃদয় ভাঙার মহোৎসবে আর বলো ডাকি কারে!
বলো কেউ কেন কথা রাখে না?
স্বপ্ন দেখাইয়া পাশে থাকে না!
যারে বসাইয়াছি আমার উন্মন হৃদয়ের মাজারে,
সে’ই হৃদয় ভাঙিয়া নিলাম তুলিয়াছে বাজারে।


আমি রত্ন ভাবিয়া ছুঁইলাম যারে,
কালক্রমে দেখিলাম নগণ্য তারে;
আমি কেন যেন এই একই ভুল করি বারে-বারে,
আর ভুলের মাশুল দিই ভাঙিয়া ভাঙা হৃদয়টারে!
বলো কেউ কেন মন বোঝে না?
স্বার্থ ফুরাইলে আর খোঁজে না!
যারে ভালোবাসিতে এই অন্তর করিয়াছি ডাঙর,
সে’ই দেখি ছলনার গভীর জলের ক্ষুধার্ত হাঙর।



আমি বন্ধু করিয়া লইলাম যারে,
কালক্রমেই সে ছাড়িল আমারে;
আমার সরলতা মস্ত ভুল প্রমাণ হয় বারে-বারে,
হৃদয় ভাঙার মহোৎসবে আর বলো রাখি কারে!
বলো কেউ কেন বন্ধু সাজে না?
গীত শেষ হইলে আর বাজে না!
যারে প্রদর্শন করিয়াছি এ হৃদয়ের মস্ত গভীরতা,
সে’ই প্রীতির অভিনয়ে দেখাইয়াছে শৈল্পিকতা।


আমি আপন করিয়া নিলাম যারে,
কালক্রমে দূরে সরাইল আমারে;
আমি কিসের ভুলে যেন দিক হারাই বারে-বারে,
আর ভুল পথেই বহু দূর এগিয়ে যাই চুপিসারে!
বলো কেউ কেন সাথে থাকে না?
প্রয়োজন শেষে মনে রাখে না!
যারে নিজের করিতে করিয়াছি সর্বস্ব উজাড়,
সে’ই দেখি অসুর হইল মম সর্ব সাধন-পূজার।



আমি ফুল ভাবিয়া গাঁথিলাম যারে,
কালক্রমেই যে বুঝিলাম আহারে!
আমার এ জনম বুঝি যাবে ভুলেই বারে-বারে,
হৃদয় ভাঙার মহোৎসবে আর বলো যাচি কারে!
বলো কেউ কেন ভালোবাসে না?
হৃদয় নিয়া আর কাছে আসে না!
যারে গোলাপ ভাবিয়া করিয়াছি এ হৃদয়ে চাষ,
সে’ই বুকে বিঁধিয়াছে বিষাদ-কাঁটা বারো মাস।


আমি বৃষ্টি হইয়া ভিজাইলাম যারে,
কালক্রমে সে পোড়াইল আমারে;
আমি কোন্ সে ভুলে যেন হোঁচট খাই বারে-বারে,
আর ভুলের চোরাবালিতে আটকে যাই আহারে!
বলো কেউ কেন সন্ধি মানে না?
অন্তরে ভালোবাসতে জানে না!
যারে পাইতে আমি ধরিয়াছি সব বাজি অভয়ে,
তিলে তিলে সে মারিল প্রেমের নিখুঁত অভিনয়ে।


রচিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭