অধুনা মেসেঞ্জারটা কত-কত নতুন ফিচারে ঠাসা!
তবু আমি সেই পুরোনো ফিচারটারই করি আশা:
যে ফিচারে ছিল একটা প্রিয় ‘তুমি’র আইডি যুক্ত;
আজ মেসেঞ্জারে কতশত ফিচার হয়েছে উন্মুক্ত!
তবু আমার সেই ‘তুমি’ ফিচারটা আসলো না আর,
তাইত মেসেঞ্জার যেন হয়ে আছে নিকষ অন্ধকার;
একটা ‘তুমি’ বিনা বিফল যে মনোহরী সব ফিচার,
জীবনের গতিপথ নিয়ে খেলে এই এপ্ মেসেঞ্জার।


যার মুঠোফোনের টুংটাং শব্দে ঘুম ভাঙত সবার,
আজ সে’ই ঘুমায়, বন্ধু হয়ে নিঃশব্দ, নিস্তব্ধতার।
সাদামাটা এপটাও ছিল আমার কাছে বড্ড রঙিন,
আজ কত রঙের ফিচার! তবুও লাগে বড্ড মলিন।
সব ফেলে থাকতাম সদা বুঁদ হয়ে যার মেসেজেই,
আজ কত বছর কেটে যায়! তবু তার মেসেজ নেই।
অর্ধদশক পরেও ভাবি একটা মেসেজ আসুক তার,
জীবনটাই স্বাদহীন করে দিলো এই এক মেসেঞ্জার।


নিশাচর হয়ে যার কেটে যেত সারারাত চ্যাটিংয়ে,
আজ তার কাটে রাত বিরহ-সন্ধির সন্তপ্ত মিটিংয়ে;
কারণ প্রিয় আইডির সবুজ বাতির হয়েছে নিবারণ,
নতুন কোনো আইডিতে হয় তার নিয়মিত বিচরণ।
জানি না কোন্ নব স্বপ্ন সারথির হয়েছে আগমন,
জানি না কে তারে আজ শত কথায় ভোলায় মন;
তবুও যে সেই নিস্তেজ আইডিতে ঢুঁ মারি বারবার,
আর ভাবি হঠাৎ যদি সক্রিয় হতো তার মেসেঞ্জার!


কত স্বপ্ন বোনা ছিল এখান থেকে জীবনের সর্বত্রে!
আজ সেই স্বপ্নগুলোর বাস কবিতা আর কাগজপত্রে।
মনে কি পড়ে না পাষাণী সেই ঘন্টার পর ঘন্টা কথা?
টেক্সট, অডিও, ভিডিও কলের সে যে কি আকুলতা!
এক মুহুর্ত কথা না হলে ভাবছি কে জানি যায় নিয়ে,
আজ স্বার্থক করেছ সে ভাবনা আমার তুমি হারিয়ে।
তুমিও স্বার্থক ভুলে আমায় ওহে ছল-রথ-পেসেঞ্জার!
করে মোরে ছারখার অদ্য কর উত্তপ্ত কার মেসেঞ্জার?


রচিত: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।