আমি আমার সৃষ্টির অগোণক,
সৃষ্টির বৈচিত্রময় মাঠে কত সৃষ্টি যে হলো অগোচর;
কত সৃষ্টি যে অপলোক,
ধ্যানের আড়াল, মনের আড়াল, কত লুপ্ত অনশ্চর!


কত সৃষ্টি কুঁড়িতেই হারাল,
আবার কত সৃষ্টিরা পূর্ণতা পেয়েও গেল বিসর্জন;
চিরতরে অদূরে গড়াল,
বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ির মতন।


কত পূর্ণ সৃষ্টিরা আজ,
সময়ের ব্যবধানে আমার সাথে ওরা দূরত্ব সৃজিল;
কত পূর্ণ পাণ্ডুলিপি-তাজ,
স্মৃতির বাক্সে ময়লায় জর্জরিত হয়ে গাত্র ঢাকিল।


কত সৃষ্টির নৈপুণ্য রূপ,
করেছে আমার বিগত সব সৃষ্টিরাজির প্রতিনিধিত্ব;
কত সৃষ্টিরা দিলো ডুব,
অজস্র রচনাবলির অতলেতে যার দুষ্প্রাপ্য অস্তিত্ব।


কত সৃষ্টির যথাতথা উদ্ভব,
আর যত্রতত্র লেখা যার নেপথ্যে বাজে হারাবার সুর;
কত সৃষ্টির মনোরঞ্জন উৎসব,
মনে কত ভাব কথার আবির্ভাব হয়েও হারাল বিধুর।


কত সৃষ্টিরা এসেছিল,
বাল্যকালের হাতেখড়ি হতে যখন পড়ি দ্বিতীয় শ্রেণি;
সেই সব সৃষ্টিরা কই গেল!
যাদের বক্ষে ভর করে আজ আমি সার্থক সৃষ্টি বুনি।


সেই ছোট বুদ্ধির কত,
ছোট সৃষ্টি, ক্ষীণ উপলব্ধি, পেল না কোনো গ্রন্থে ঠাঁই;
সৃষ্টি হারানো স্মৃতি শত,
এ বুক করে তীক্ষ্ণ ক্ষত, যদি একটি সৃষ্টি খুঁজে না পাই।



॥ রচিত: ১১ নভেম্বর ২০১৮; স্ব-নীড়, বংকুরা, কোটালীপাড়া,  গোপালগঞ্জ ॥