নিপীড়িত জনতার মঞ্চে এক রাজনৈতিক মহাকবির মঞ্চায়ন;
সে কি সাহিত্য! সে কি মহাকাব্য!
আর মহাকালের মহাবিপ্লবী সে কি গর্জনী!
একটি ভাষণ, একটি দেশ, একটি তর্জনী।


সবকিছু উলোটপালোট করে প্রলয় ডেকে আনল এক মূহুর্তে;
কেবল একটি তর্জনীর ইশারা!
আর নতুন একটি দেশের সীমানা নির্ধারণ,
যেন সুপার-পাওয়ারও তাঁর কাছে সাধারণ।


আমি এক মহা জাদুকরের কথা বলছি, তিনি বিখ্যাত জাদুকর;
যার জাদু প্রদর্শনে কিচ্ছু লাগে না!
কেবল একটি তর্জনী আছে যার ডান হাতে,
কে আর পেরে উঠবে বল লড়ে তাঁর সাথে!


আমি এক মহাকবির কথা বলছি, একজন বিখ্যাত রাজ-কবি;
সে কি শব্দচয়ন! কি ধ্বনিঝঙ্কার!
যার তর্জনীতে জাগল বাঁধভাঙা গণ-স্পর্ধা,
কেউ দেখেনি আগে বাঙালির এহেন স্পর্ধা।


সে যে আর কেউ নয়, একজন মানবরত্ন বঙ্গবন্ধুর কথা বলছি;
যার তর্জনীর শক্তিতে মুগ্ধ বিশ্ব!
একটি ঐতিহাসিক সাত মার্চের মহান স্রষ্টা,
আর একটি জাতির স্বাধীন হবার স্বপ্নদ্রষ্টা।


আমি দেখিনি এত নির্ভিক কেউ হতে পারে জালিমের সমুখে;
সে কি হুঙ্কার! সে কি প্রতিবাদ!
তর্জনী উঁচিয়ে দরাজ কণ্ঠে রচিত কাব্যনাম:
— “এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।”


রচিত: ৭ই মার্চ ২০২৪; ঘাঘর বাজার, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।