তব লীলা ঠাঁই তারে দিল নাহি মন
নাচিয়া কদম্ব তলে বাজিয়ে মুরালী রাধিকারমন
    সখি নাচে সখা নাচে মোহন বাঁশীর সুরে
    বাঁশীর সুরে জ্বলে মরে রাধিকা অদুরে
     চাতকী স্বজনী দেখে ধৈর্যরসের বাঁশী
        কেমনে ধ্বন্নিত হচ্ছে জলধর শশী
    কেমনে আসিল প্রেম ভেসে তার নিড়ে
      ধৈর্যরাজ বান্ধে মন চায় তবু ফিরে
   সংসারে শাশুড়ি ননদ কপালে তার স্বামী
    মোহনবাঁশী উতালা করিছে হয়েছে অন্তর্যামী
      মৃদু সুরে বাজে চলে চন্দ্রাবলীর কর্ণে
      নাহি মন সংসারেতে অলংকারাদি স্বর্ণে
        অকাতরে প্রাণ কাদে রাধা বিরহিনী
  পর নিন্দা তুচ্ছ করে কৃষ্ণসঙ্গে কাটে সে রজনী
    মোহন বাঁশীর সুরে বিন্দাবনে খেলা চলে তার
     সমস্ত মর্তে মোহিত করিছে লীলায় অপার ।।