খুব গভীর আঁধার থেকে ধীরে ধীরে আলোর সঞ্চারণে চারদিক নিবিষ্টে ফুটে উঠে।
মনের সংযোগে একাধারের আরাধনায় দিব্যি পথ খুঁজে নেয় কর্তব্যের পরিধি।
অসাড় দেহও স্থিত ধর্তব্যে দ্রোহের আকুলে চোখ মেলে তাকিয়ে মন পেতে নেয়।
প্রস্তুত খেয়াল দূরের লক্ষ্যে অভিযাত্রা ঢেউ কেটে এগোয় তীর ছুঁতে যাওয়া অনিমেষে।
সেদিনের ধ্রুপদী সময় আলোকরাঙা অহর্নিশে মুচকি হেসে দেখেছিলো আগমনের কান্না।
মুহূর্তরা ডানা ঝাপটানো আবেগে রাঙিয়ে উজ্জ্বলতার আঁখরে ভাসিয়েছিলো মাতৃঅধর।
পরিণত সময়ের পরখে হৃদয়ের কোণে লাস্যময়ী হয়ে প্রহর গুনছিল দেশের পরাধীনতা।
ধীরে অধিকারের আঁখরে বুনট গড়ে মানুষের জন্য গৃহরাজের পরিচক্রিকায় রূপভ্রমণ।
কেড়ে নিতে চাওয়া মাতৃভাষার সম্মানে দাগ কাটা প্রাণের অগ্রজে সাকারে সাহস ছুটে।
সবটুকু আবেগের ঘনঘটায় অভিন্ন মতাদর্শের বুননে মাতৃভূমি চোখ পেতে তাঁর দিকে।
কোটি কণ্ঠের আরজ অগ্রদূত সবাক মহিমায় চারদিকে জয়গান শুনিয়ে এগিয়ে যায়।
দেশমৃত্তিকার সোঁদা গন্ধের আকুলে প্রাণের স্পন্দনে চোখজুড়ানো সবুজের রূপসী বাংলা।
সত্যিকারের বন্ধু হতে সময় লাগেনি একটুও অবিচ্ছিন্ন আত্মজে কর্ষিত ঝাঁপ বঙ্গবন্ধুর।
মানুষের মনের অভিলাষে ডুকরে উঠা কোন না পাওয়ার ভাষা ছিলো তাঁর আত্মগত।
শোষণের বিপরীতে কীভাবে তেজস্বী দ্রাক্ষায় বারুদ জ্বালাতে হয় তা অজরের অভিগত।
মানুষের বুকে দাগ কেটে যাওয়া অত্যুজ্জ্বল আহ্বানে দেশের বাতাসে হাসে প্রিয় পতাকা।
প্রহৃত হায়েনাদের আঘাতে জর্জরিত ভাঙ্গাচোরা মাতৃভূমির বুক থেকে-
দাগ সরানোর কর্মযজ্ঞে যখন ব্যতিব্যস্ত অগ্নিতর্জনী,
ঠিক তখনি পরিবারসমেত রক্তে স্নাত তাঁরই অংকিত বাংলাদেশের আকুতিভরা মাটি।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙ্গালি শোষিতই থেকে যেতো প্রত্যাহত থাকতো তাদের স্বপ্ন।
প্রাণ দিতে হল গর্হিত অমানুষদের হাতে মেনে নেয়াটা খুব কঠিন বিবেচ্য অবয়বে।
একদিন তাঁর দেখা না পেলে কোটি মানুষের হৃদয়ে লালিত স্বাধীনতা আসতো না।
আমৃত্যু নিজের জীবনের চেয়ে নিজ দেশকে ভালোবেসে চিরঅক্ষয় চিরসবুজ চিরজাগ্রত।
দুখী মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টার শতবর্ষের জন্মতিথিতে সহস্র ঋণে নির্নিমেষে কাঁদে স্বভূম।
তাঁরই বিরচিত পথের পরিক্রমায় চলেছে ছুটে তাঁরই রক্ত শেষপর্যন্ত দিনরাত নির্ঘুম।