একই নিঃশ্বাসে বেঁচে থেকে কপালের সিঁদুর সন্ধিমূলে লালিত যে ভূষণ-
চোখের আলিঙ্গনে রঙ্গিন টিপের আলোতে পরিধি মাপে যে বয়ন-
রক্তের রং যেখানে একই-
সেখানে কখনোই আঁচড় যেন না কাটে কোনদিন-
ভ্রুকুটেও শাণিত নয়ন।
ধর্মের গীত সাম্যতায়; মূল্যবোধের নিরানে নির্বাণে পাশাপাশি সমতায়।
যে দু’টি চোখ কাঁদতে পারে-সেও তো মানুষ।
যে দু’টি চোখের কোণে হাসির জোয়ারে ভাজ পড়ে-
তার চোখ তো ভিন্ন নয়।
‘মালাউন’ বলে ছুঁড়ে দেয়া একটি শব্দ হতে পারে তীব্র অমানবিক।
ধর্ম যতো মানুষ ততো;
এমন মায়াভারে সবাই উড়ায় মনের রঙ্গিন ঘুড়ি।
হাসতে পারে সর্ব-মানুষ-
মানুষ আমরা একই নাটাইয়ে একই বিশ্বাসে উড়ি।
কোন এক অন্ধত্বের জরায় কারো ভুলে যদি কোনদিন হয়ে থাকে কিছু-
সে ভুলের মাশুলে জাতি-ধর্ম সাথে মানুষ কীভাবে বিবর্ণ হতে পারে?
হয়ে যাবে অচ্ছুত হৃদয় বিবর্ণ হতেই পারে শ্রুত-
কিছু অমানবিক শ্লেষ্মা মস্তিষ্ক ঢাকে।
কেউ চাটুকার নয়; অথবা নয় কোন জাতি-ধর্মের প্রবারক অজান্তেও।
হৃদয়ের গলিতে যদি থাকে মনের বিবেক-
ঠিক সেখানেই জেনে রাখো চুপসে বসে থাকে-
অন্তরিন আলিঙ্গন; সহাস্যতা।
বেঈমানি করে যেতে পারে সর্বধর্ম জাতও।
তবে কেন অকাট্য নির্নিমেষে সুপ্রাচীন ধর্ম হিন্দুত্বে-
একটি শব্দের আঘাতে কালো ছোট করা হবে-
বিবেকেরও অবনয়ে; তমস্রার প্রপাতে।
সম্প্রীতি একই বন্ধনে।
ভুলেই যাই আমরা যখন কণ্ঠে জড়াই গালাজ-
তারপরও তো খুঁজে বেড়াই সমাধিকার।
জানি না; বুঝি না; কিংবা মানতে পারি না-
এমন কেন তবে হবে মানবিক-বিচার!