গ্রীষ্ম কালে গরমের প্রচণ্ড তাপদাহ,
হাঁপিয়ে ওঠে সকল প্রাণী, মাঠ প্রান্তর সহ।
কৃষকেরা চিন্তিত হয় নিয়ে ফসল বোনা,
‘বৃষ্টি হবে’-এমন কথা, যায় না কোথাও শোনা।


জীবনটা তখন হয়ে ওঠে-যেন,
বিষাদময় ও অসহায়।
নেই কোনো জায়গা এমন,
যেখানে একটু বায়ু বয়।


এমনই একদিন গ্রীষ্মের দুপুরে,
বসেছি আমার ছোট্ট কুটিরে।
গরমে সব খাঁ খাঁ করে,
শরীর থেকে ঘাম ও ঝরে।
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি-
প্রকৃতি যেন করুণা প্রার্থী।
সবুজ শস্য বিহীন মাঠের শুষ্কতা,
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি।
সব মিলে যেনো গড়ে উঠেছে,
এক শুন্য, রুক্ষ মরুভুমি।


গ্রীষ্ম চলে যায়, নেমে আসে বর্ষা,
প্রকৃতি ফিরে পায় জীবন।
মানুষ, পশুপাখি, সকলের মুখে হাসি,
উৎফুল্ল সকলের মন।
প্রতিযোগিতা লেগে যায় মাঠে,
কৃষকের মাঝে বেশ।
লাগাও ফসল তারা তারি,
বৃষ্টির নাই শেষ।
খুব তার তারি, সুজলা-সুফলা,
হয়ে ওঠে প্রকৃতি।
সব কিছুতে আনন্দের জোয়ার,
বইছে দিন ও রাতি।


এমনই একদিন, সময়টি দুপুরে,
বাইরে অবিরাম বৃষ্টি ঝরে।
চেয়ার টেনে জানালার ধারে,
বসেছি আমার ছোট্ট কুটিরে।
এক অপলক তাকিয়ে বাইরে,
দেখি তারে নয়ন ভরে।
কত সুন্দর, কত মনোহর,
কত অপরূপ, বর্ষার রূপ!
®
২৮/০৬/১৯৯৯
রামগড়, খাগড়াছড়ি।