আকাশটা আজ মেঘাচ্ছন্ন
সুর্যটা নেই আসমানে,
ঘুমিয়ে আছে মেঘের বাড়ি
কৃষ্ণ কাঁথার মাঝখানে|
মৃদুমন্দ বইছে হাওয়া
ঈষত্‍ শৈত্য লাগছে কায়,
আমের মুকুল পড়ছে ঝরে
ফের পুরবীর ঐ না বায়|
সারা আকাশ গাত্র জুড়েই
জাগলো হঠাত্ মেঘ- জখম,
ঈষত্‍ ঘাতেই মেলবে যেন
বৃষ্টি-রক্ত নিজ পেখম|
একটু পরেই টাপুর টুপুর
ঝরলো যে ঐ বৃষ্টি খুন,
ঝরছে কভু ধীরে ধীরে
আবার কভু তার দ্বিগুন|
হাকছে নভে মেঘ-দানব ঐ
তাহার বিকট ভীম হাকে,
ভয়ে পথিক ছাতার নিচে
নিচ্ছে মাথা তার লুকে|
কৃষকেরা করছেযে কাম
মাথায় মাতুলখান দিয়ে,
বুড়োরা সব পাট পাকাচ্ছে
চাউল ভাজার স্বাদ নিয়ে|
বৌঝিরা সব একসাথে ঐ
সুচোয় সুতোর প্যাঁচ গাঁথি,
করছে সেলাই নকশি কাঁথা
গল্প গানের মাঝ মাতি|
শিশুরা সব ঘরের মাঝে
করছে ভীষণ যে হৈ চৈ,
বলছে বৃষ্টি যা চলে যা
ফের আকাশের গাত্রে ঐ|
কেউবা আবার বৃষ্টি-জলে
ভিজছে শুধু আদুল গায়,
কেউবা বসে ছাউনিধারে
জল ফেলিছে আপন পায়|
মায়ের শত গালি খেয়েও
ফিরছেনাযে কিশোর দল,
ভিজছে শুধুই ভিজছে জলে
পাগল যেন আজ সকল|
দিন গড়িয়ে রাত্রি এলেও
থামলনা ঐ বৃষ্টি-গান,
বাদল মেয়ে নাচলো শুধুই
অঙ্গে নিয়ে ছন্দ-বান|