আজ কবিতা নয়!
সল্প জ্ঞাতসারে হবে মন্তব্যে থাকবে কিছু প্রশ্ন!
উওরের দরকার নাই,
আমি দুধের পিটার নয়,নিকোটিনের ধোঁয়া খাই,
পুস্তকের পৃষ্টা নেড়ে,স্বাধীন মাঠে কলম নাড়াই!


বলার আছে অনেক কিছু,তবে বুকে বল নাই,
মনে'তে সাহস নাই,মগজে পর্যাপ্ত জ্ঞান নাই!
ইতিহাস প্রকাশ হয়েছে মাএ এক ছটাক;
বাকী'টার হদিস নাই!
কারণ এক'টাই দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভাই।


বঙ্গবন্ধু হত্যা!
ইতিহাস কম বেশি সবার জানা।
পনেরই আগষ্ট,কালো রজনী,
আজও ধোঁয়াটে রয়ে গেছে রহস্যে ঘেরা এই রাএি।


মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী,তৎকালীন সময় ছিলেন, এএফএম মহিতুল ইসলাম!
যেখানে ঘাতকের দল হত্যা করে,
সদ্য ফোঁটা দশ বছরের নিষ্পাপ পুষ্পের পাপড়ি
শেখ রাসেল কে।
সেখানে মহিতুল ইসলামকে কেন বাঁচিয়ে রাখেন.?
শেষে প্রত্যক্ষ-দোষী হয়ে মামলায় বাদী হওয়ার জন্য.?
কেউ বলবেন না,
উনি তো শেখ পরিবারের কেউ নন।
তাছাড়া সে দিন তিনি আহত হোন,গ্রামের বাড়ি যশোর পালিয়ে যান এবং পরবর্তীতে সেনা হেফাজতে তাকে নির্যাতন করে।
একটু গন্ধ খোঁজেন,রত্নের কাছে চলে যাবেন!


হত্যাকারীদের সহায়তা কে করেছে.?
জিয়া তো উপ প্রধান ছিলেন!
সে সময়ের সেনা প্রধান কে.এম শফিউল্লাহ তখন কী করেছেন.? তিনি সেনা নেতৃত্বে থাকা কালীন সময়, কিভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হাতে বঙ্গবন্ধু খুন হোন.?
তিনি কেন কোন গ্রহন যোগ্য এ্যাকশনে যান নি.?
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম,তিনি জরিত নন!


যদি মেজর জিয়া,খন্দকার মোশতাক,তাহের উদ্দীন ঠাকুর,মাহবুব আলম চাষী,খুনি মাজেদ এবং শাহরিয়ার সহ আরো অনেকে বঙ্গবন্ধু হত্যায় অতি ঘনিষ্ঠ ভাবে জরিত থাকেন।
তাহলে নিশ্চয় সেনা প্রধান,দেশের গোয়েন্দা সংস্থা
ষড়যন্ত্র উদঘাটনে ব্যর্থ হয়েছে.?
কিংবা ইচ্ছে করেই চাঁপা রেখেছে জাতীর কাছে।


ষড়যন্ত্র বা এমন একটি নির্মম হত্যা কান্ড
জাতীয় ট্র্যাজেডি হবে, এ কথা অবশ্যই জানা ছিলো।
একটি দেশের প্রধানরা ছাড়া,
এমন ষড়যন্ত্রের ইন্ধন বা প্রণোদনা কারা দিতে পারে.?


পচাওরের বিপ্লব সফল হওয়ার পর,
অতি উৎসাহী হয়ে উল্লাস ধ্বনিতত্বে ট্যাংকের উপর লাফালাফি করেছে কে.?
জাসদ আর আওয়ামী লীগের সম্পর্ক তৎকালীন সময় কেমন ছিলো.?


একটু ঘিয়ের গন্ধ ছড়ায়
আমার জেলায়!
তৎকালীন রক্ষী বাহিনীর প্রধান ছিলেন তোফায়েল।
নেতা মুজিব তোফায়েল আহমেদ কে ফোন করেছিলেন।
বুঝলাম তখন উনার কিছু করার নাই;
কিন্তু পরে শোক প্রকাশ ছাড়া কী এমন করে ছিলেন.? প্রশ্ন কী উঠে না,
দেশে এতো এতো চতুর তরুণ নেতা থাকতে!
বঙ্গ নেতা হত্যার পর,
দেশব্যাপী কেন গণআন্দোলন হয় নি.?
নাকি এমন'টা হোক তারা চান নি!
তলে তলে ডাল ভাজা শেয়ার করে খায় কারা.?
আমরাও বাঙালি বর্তমান অবস্থা দেখি,
পচাওরে কী হয়ে ছিলো কিছু হলেও বুঝি।


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গকে হত্যার পেছনে যারা জড়িত ছিল, তাদের শাস্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশটি জারি করেন.?
এই ইনডেমনিটি শুধুই কী একক ভাবে খন্দকার মোশতাক দিয়েছেন.?
ক্ষমতাশীন দলীয় বর্তমান রাষ্ট্র পক্ষ
কেউ কী এর মধ্যে জরিত নন.?
বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যারা জরিত তারাই ইনডেমনিটি দিয়েছে,এটি বোঝার জন্য বিস্তর বা গভীর ভাবে,গবেষণার দরকার নেই।


একটু পরম বন্ধুর কথা না বললেই নয়!
তৎকালীন ভারত ও ভারত সরকার এই নাটকীয়
হত্যা কান্ডের পর;
কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় নি!
বরং নতুন রাষ্ট্রপতি কে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন!
কারণ.?
বলবেন না আবার,
ওটা অন্য দেশ তাই নাক গলানো বারণ।


এই সব সুন্দর সাবলীল ভাবে প্রকাশ হোক।
জাতি সত্যি জানুক।
বামপন্থী সবাইকে ডাকুক দেশের মানুষ দেখুক।
মুজিব হত্যার বিচার হোক,বাঙলা প্রান খুলে হাসুক।


বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই..
বাংলার আকাশে-বাতাসে,গাছের ডালে-ডালে
জলে-স্থলে,পাখির কলকাকলিতে;
বহমান পদ্মা মেঘনার স্রোতে তিনি বেঁচে আছেন!


তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন..
কেননা তিনিই বাংলার বসন্ত, শরৎ এর খুসবো
সকালের শিশির,বিকেলের মুগ্ধ গৌধুলী।
অন্ধকারের চাঁদনি রজণী।


হে অবিসংবাদিত রূপসী বাংলার কবি!
আপনার দেখানো পথে..
রাজপথের বিপ্লবীদের মিছিলে চিরকাল আপনি অমর!