মধ্যনদী পেরোলে(রূপকাশ্রীত কবিতার শরীর জুড়ে গভীর জীবনবোধ)
কবি--স্বপন বিশ্বাস
আলোচক--রণজিৎ মাইতি
------------------------------------
ভূমিকা----


বঙ্গ নববধূরা যখন বাবার বাড়ি থেকে প্রথম শ্বশুরবাড়িতে পা রাখেন তখন সবাই ঢেকে রাখেন চন্দনচর্চিত মুখ ঘোমটার আড়ালে,সঙ্গে থাকে একটি লাজবস্ত্রও।কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন আহা এসব আবার কেনো?আসলে শিল্পগুণে সমৃদ্ধ বাঙালি মাত্রেই জানেন যেখানে যতো আড়াল,সেখানে ততো বেশি আকর্ষণ।হয়তো এই ভাবনা থেকেই সারা পৃথিবী জুড়ে বুদ্ধিমান জীব একমাত্র মানুষই ঢেকে রাখে সারা শরীর পোশাকের আড়ালে।কারণ যৌন আকর্ষণও অন্তরায় হয়ে ওঠে শরীরী আকর্ষণ ছাড়া।সুতরাং ঢাকো বাঙালি,ঢাকো।কোনোরূপ রাখঢাক গুড়গুড় না রেখে ঢেকে ফেলো চাঁদপানামুখ।এই ভাবনা পরবর্তীতে এসে গেলো শিল্প সাহিত্যের আঙিনায়ও।একটা সময় পর প্রকাশ্য বিষয়ের উপর নিছক ছন্দবদ্ধরীতিতে সৃষ্ট সাহিত্য রসিক পাঠককে তেমন আকর্ষিত করতে পারলো না।কারণ ততোদিনে সে অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং সাবলম্বী।কতোদিন ভালো লাগে পূর্বতন রীতি,প্রাচীন মৈথিলী ভাষা ? যেমন----


"কাশিরাম দাস কহে শুন পুণ্যবান
মহাভারতের কথা অমৃত সমান।"


কিংবা


"অন্নপূর্ণা উত্তরিলা গাঙ্গিনীর তীরে
পার করো বলিয়া ডাকিল পাটনীরে।"


একঘেঁয়েমি মানুষকে বিষয় ও শিল্পকলা বিমুখ করে তোলে,তাই অভিনব কিছুর মধ্যে দিয়ে মানুষ চাইলো নতুন স্বাদ।এই স্বাদ বদলের ভাবনাই তাকে বাধ্য করলো রূপকাশ্রীত হতে।ঘোমটা থাকবে,কিন্তু ঘোমটার আড়ালে থাকবে ঝাঁ চকচকে রূপসীর স্বপ্নিল কল্পমুখ।নববধুর কল্পমুখ দেখার জন্যে যেমন পাড়ার বধুরা হামলে পড়ে,তেমনি হামলে পড়বে কবিতাসুন্দরীর নিজস্ব স্বতন্ত্র কাব্য সুষমায়,লালিত্যে ও লাবন্যে।কেউ কেবল হাত খানা দেখে বলবে আহা নববধূর যেমন সোনার মতো গায়ের রঙ্ তেমনি কি অপূর্ব রূপসী।আবার কোনও কোনও স্বভাব নিন্দুক কেবল গোড়ালি দেখে বলবে,'ধূর,ফর্সা না ছাই।আসলে শহুরে মেয়ে তো,পর্লারে গিয়ে মেকাপ নিয়েছে।দুদিন পরেই যখন ঘোমটা সরে যাবে তখন দেখিস'।এটাই হলো আড়ালের রহস্য।


সুতরাং শিল্প সাহিত্যের আকাশকেও যে এই ঘোমটা নামক কুহকিনীও আকর্ষণ করবে এটাই স্বাভাবিক।যে আকর্ষণের ঢেউ ততোদিনে আছড়ে পড়েছে পাশ্চাত্বের আকাশে,যা পরীক্ষিত এবং সফলও।যার দীর্ঘ লাইনে স্তম্ভস্বরূপ দাঁড়িয়ে আছেন শেলী,কিটস্,বায়রণ,ওয়ার্সওয়ার্থ ওয়াল্টার ডি লা মেয়ার,আওয়েন প্রমুখ


জাষ্ট সেই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কবিগুরু প্রথম উপলব্ধি করলেন রূপকাশ্রীত কবিতার গুরুত্ব।যে কবি এতোদিন 'পুরাতন ভৃত্য','দুই বিঘা জমি'র মতো কবিতা রচনা করছেন,তিনি ঢলে পড়লেন 'সোনার তরী'তে।আর 'সোনার তরী'র হাত ধরে সাহিত্যের আকাশে ফলতে লাগলো সোনা।তিনিই প্রথম বাংলা সাহিত্যে প্রচলিত ছন্দরিতি ভাঙার কাজে হাত দিলেন।মুক্ত ছন্দের এই পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে শরিক করলেন রসিক পাঠককূলকে।তাঁরাও তাদের অভিজ্ঞতার ঘোড়ায় চেপে উপলব্ধি করলেন 'রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে'।তাই কবিগুরুর বক্ষপিঞ্জর ভরিয়ে দিলেন প্রশংসার অর্ঘ্যে।


পরবর্তীতে কবিগুরুর দেখানো পথের ভাবগভীরতায় মজলেন মেঠো পথের পথিক,রূপসীবাংলার রূপে মুগ্ধ আমাদের সবার প্রিয় জীবনবাবু।তিনি বাংলার আবিলতাহীন নগ্নসুন্দর রূপটি দেখলেন অবগুণ্ঠনের ফাঁক দিয়ে।উপলব্ধি করলেন অফিস ফেরত লোহার কড়াইয়ের গরম বালিতে ভাজা গরম গরম চিনেবাদামের খোলস ছাড়িয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা।যে মজায় নিমজ্জিত করলেন তাঁর আপামর পাঠককূলকে।আর রসিক বিদগ্ধ পাঠকও পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে শিশিরের স্বপ্নের মতো সন্ধ্যার আকাশে দেখলেন পরিচিত হয়েও পরিচিত নয় কাছের বাড়ির বনলতা সেনকে।বুঝতে পারলেন চেনা সুচেতনা আজও দূরতম দ্বীপ।


কিন্তু দ্বীপ অন্বেষণের ভাবনা চিরতরে মুছে গেলো না মানুষের মন থেকে।বরং কবিগুরু ও জীবনানন্দ দাশের প্রদর্শিত পথে নবীন কবিকূলও জ্বাললেন প্রদীপ।তাঁরই জলন্ত দীপশিখায় পুনরায় সেঁকে নিলেন হাত,সঁপে দিলেন হৃদয় মগজ।


তেমনই একজন মানুষ আমাদের অতিপরিচিত কবি শ্রদ্ধেয় স্বপন বিশ্বাস।তিনি খুবই কম লেখেন,কিন্তু যখনই কলম ধরেন তিনি চেষ্টা করেন তাঁর ক্যানভাসে ফুটে ওঠা সুন্দরীর মুখটাও ঘোমটায় ঢেকে রাখার।কখনো আলো আঁধারির মধ্য দিয়ে হেঁটে যান তাঁর নির্মিত মানসসুন্দরী,কখনও ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢেকে দেন মুখ।আসুন একবার কবি চিত্রিত সুন্দরীর রূপসাগরে একবার টুঁ মেরে দেখি,কতোখানি ঢেউ মধ্যমায়,কতোটা কনিষ্ঠায়।নাকি সুন্দরী সম্পূর্ণ ঢেউ ধারণ করেছেন বুড়ো আঙুলের ডগায়?আঙুল থেকে আঙুল পেরোতে পোরোতে দেখি তিনি সবে অতিক্রম করেছেন মধ্যমা।কবি জবানিতেও বললেন সেকথা,তাই কবিতার নামকরণ করলেন 'মধ্যনদী পেরোলে'।
---------------------------
মধ্যনদী পেরোলে
কবি--- স্বপন বিশ্বাস
----------------------------
মধ্যনদী পেরোলে
জলের আর সে আকুলি-বিকুলি থাকেনা।
উঠতি মাছের ঝাঁক কমে আসে,
জলপ্রিয় পাখিগুলি উড়ে উড়ে ঠোঁট থেকে
মুছে ফেলে বাতাসের ফেনা।


মধ্যনদী পেরোলে
বৈঠা ছেড়ে,মাঝি একটু জিরিয়ে নেয়
গামছায় ঘাম মোছে ;নৌকোটাকে স্রোতে ছেড়ে
আমেজে একটা বিড়ি ধরায়।


বাসি-ফুল,মালা,শব,মাটির ভাঙা কলসি...
ঢেউয়ে ভেসে যায়।


মধ্যনদী পেরোলে
ধীরে ,ধীরে
পাড় জেগে ওঠে ;অন্য পাড় মুছে যায়।
------------------
বিদগ্ধ কবি স্বপন বিশ্বাস কবিগুরু ও 'রূপসী বাংলা'র কবি জীবনানন্দ দাশের প্রদর্শিত পথে রচনা করলেন 'মধ্যনদী পেরোলে' কবিতাটি।নদী হলো স্রোতের ধারক বাহক।জীবননদীও তাই।যখনই জীবননদী আটকে পড়ে অন্ধকার চোরাগলিতে,তখনই সে মৃতবৎ।অবশ্য নদী হলো সমগ্র জীবনের প্রতীক।কিন্তু কবি এখানে চেনালেন মধ্যনদী অর্থাৎ মাঝ বয়স পেরোনোর পর যেখানে এসে দাঁড়ায় মানুষ তা কেমন?কেমন তার স্রোত?কতোটা গভীর টান?তা কি নদীর জন্মক্ষণের মতোই তরঙ্গ উতল,নাকি সদা চঞ্চল শুয়োপোকার মতো অস্থিরমতি?অথবা অনন্ত যাত্রার অন্তিম লগ্নের মতো সে কি শান্ত ধীর স্থির?যেভাবে খরগোশ মুখ টাকে শত্রু আক্রমনে সেভাবেই কি পরাজয়ের গ্লানি বুকে মুখ ঢাকে নদীসীমান্ত?


পাঠক মনে উথিত এই সব মায়াবী প্রশ্নের সমাধান হয়ে যায় কবি বর্ণিত মধ্যনদী পেরোনো নদীর মুখোমুখী দাঁড়ালে।কারন কবি নিজেই মধ্যনদী পেরোনো নদীর প্রতিভূ হয়ে জানিয়ে গেলেন
"মধ্যনদী পেরোলে
জলের আর সে আকুলি বিকুলি থাকেনা"
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে তখন কেমন থাকে নদী?
কবি নিজেই দিলেন সেই জবাব,
কিনারার দিকে গভীরতা কমতে থাকে তাই
"উঠতি মাছের ঝাঁকও কমে আসে"


নদীরূপী মানুষ তখন বড়ো একা হয়ে যান,গ্রাস করে নিঃসঙ্গতা ও বিষন্নতা।
জল অর্থাৎ জীবনপ্রিয় পাখিগুলি(মানুষ) যারা এক সময় ফুরুৎ ফুরুৎ উড়তো তারা বুঝতে পারেন এতোদিনের সমস্ত কলকাকলি বাতুলতা ও বাহুল্য মাত্র।
তাই,--
"জলপ্রিয় পাখিগুলি উড়ে উড়ে ঠোঁট থেকে মুছে ফেলে বাতাসের ফেনা"


কারণ অভিজ্ঞায় বুঝতে পারেন বাতাসে ভাসমান কথারেণু অঙ্কুরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে,যেহেতু পরাগ মিলনের অনুকূল আবহই তো নেই আকাশে বাতাসে।মধ্যনদী পেরোনো মানুষটিও জানেন কথাকেও নিষিক্ত হতে হয় কোনো না কোনো মাধ্যমে।সেই আবহ,সেই পরিবেশ কোথাও নেই।বরং চারপাশে বিভেদের বাতাবরণ।কোনোভাবে কোনো মূল্যবান কথা যাহাতে পাঁচকান না হতে পারে সেই বাতাবরণ চারপাশে।তাই হতাশায় জলপ্রিয় মাঝনদী পেরোনো বৃদ্ধ পাখিগুলি আর শিষ দেয়না,বরং পূর্বোক্ত কলতানের কারণে উথিত ফেনা মুছে ফেলতে বাধ্য হন।তখন বাধ্য হয়ে অভ্যস্ত হতে হয় কড়ি-কোমল উত্তীর্ণ জীবনে।গাইতে হয় ধৈবতে।


নদীর এই পর্যন্ত এসেও উৎসাহী পাঠকের আগ্রহে একটুও ভাঁটা পড়েনা।বরং উত্তোরোত্তর চড়তে থাকে আগ্রহের পারদ।যিনি এই কূলে আছেন তাঁকেও একদিন মধ্যনদী পেরিয়ে পৌঁছতে হবে বিপরীত কূলে।কারুর নিস্তার নেই এই জীবনদরিয়ার খেয়াপারাবারে।তাছাড়া প্রবুদ্ধ কবির বর্ণনা নিছক বর্ণনা নয়,মধ্যনদীর জীবন্ত স্বরলিপি,অর্থাৎ লাইভটেলিকাষ্ট।সুতরাং চিত্রনাট্যের পরিসমাপ্তি কোন পথে এগোবে জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত ডুব দিতে হবে টেলিফিল্মটির গভীরে।হয়তো শোনা যেতে পারে নদীহৃদয়ের গভীর গোপন কোনো লাবডুব।জীবন-মৃত্যু রহস্য,অথবা নতুন কোনো অমৃতকথা।কিংবা অমৃতকথার আড়ালে গোপন গহীন কুঠরির কোথাও লুকিয়ে আছে কিনা ভিন্নতর চাপা দীর্ঘশ্বাস।কোথাও কি লুকিয়ে থাকতে পারে ছাই চাপা আগুনের খোঁজ,নাকি জমে আছে রাশি রাশি স্তূপীকৃত বরফের চাঁই?


স্পষ্টবাক কবি রূপকের আশ্রয়ে নির্দিধায় জানালেন সেই সব কথা।যে কথাগুলি নিছক কথার কথা নয়,বাস্তবের মুখোমুখী না হলে এমন কথা বলাও যায়না।যেমন কবি বললেন--


"মধ্যনদী পেরোলে
বৈঠা ছেড়ে,মাঝি একটু জিরিয়ে নেয়"


যেনো এতোক্ষণে জলপ্রিয় নদীটিও(মানুষ)বুঝতে পেরেছেন ঢেউয়ের তালে তালে গাওয়া তার প্রিয় সংগীতগুলি সমস্তই অসার,সকল স্বরলিপি নিঃষ্প্রাণ,সুরহীন হযবরল।বুঝতে পারেন বৈঠা টানতে টানতে সে এখন ভীষণ ক্লান্ত,এখন ক্লান্তি নিরসনে জিরিয়ে নেওয়া ভীষণ দরকার।তাই--
"গামছায় ঘাম মোছে ;নৌকোটাকে স্রোতে ছেড়ে
আমেজে একটা বিড়ি ধরায়।"


আহা রে বেচারা!অন্যপারের দিকে এগোতে এগোতেও দিতে হচ্ছে বুদ্ধির গোড়ায় ধুঁয়ো।হয়তো এছাড় উপায় নেই,কারণ বুদ্ধির ধার কমলেই তো প্রাণপ্রিয় সন্তানেরাও ঠেলে দেবে বৃদ্ধাশ্রম নামক আস্তাকুঁড়ের দিকে।অতএব যতোক্ষণ শ্বাস ততোক্ষণ আশ।আপনা হাত জগন্নাথ,আপনা বুদ্ধি আপনা ভাত।


তাছাড়া মানুষ যখন অসহায় হয় তখন তাকে সঁপে দিতেই হয় নিয়তির হাতে।যা অসহায়ের শেষ সম্বল।এবং দুখের মাঝে সুখ খুঁজে নেওয়ার চিরন্তন আকাঙ্খাই তাকে বাধ্য করে সুখটানে।যে সুখ হয়তোবা পেতে পারেন বিড়ির আমেজে।আসলে সবকিছু হারিয়ে খড়কুটো আঁকড়ে ধরার মানসিকতাটি পরিষ্ফুট হয়েছে বিড়ির সুখটানের মধ্য দিয়ে


এছাড়া যে তার ভিন্ন কোনোও উপায় নেই,কারণ নদী নিজের চোখেই দেখেছে কিভাবে শুকিয়ে গিয়েছে সুখের আশালতা,কিভাবে চুরমার হয়েছে স্বপ্নের মিনার।এতো পূজাআর্চা,এতো এতো পরিশ্রম সব "বাসি-ফুল,মালা,শব,মাটির ভাঙা কলসি..."র মতো "ঢেউয়ে ভেসে যায়।"
ঢেউয়ের অভিঘাত এতোটাই প্রবল এখন সবকিছু ভেসে যাচ্ছেও।


এই ভাবে ভেসে যেতে যেতে একসময় ধীরে ধীরে স্মৃতিপাড় বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যায়।স্মৃতির পর্দায় জেগে ওঠে আর এক পাড়।


মধ্যনদী পেরোলে
ধীরে ,ধীরে
পাড় জেগে ওঠে ;অন্য পাড় মুছে যায়।


যে পাড়ের নাম কবি একবারের জন্যেও বলেননি।কিন্তু পাঠকের বুঝতে বাকি থাকেনা সেই পাড় আসলে জীবনের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরু।


হাঁ এটাই অমোঘ সত্য,আর যাহাই সত্য তাহাই সুন্দর।অর্থাৎ সত্য শিব ও সুন্দরের আরাধনার মধ্য দিয়েই জীবননদী পেরিয়ে যায় পারাবারের এক পার থেকে অন্য পারে।


চমৎকার কবিতা,কবিতার অন্তর্নিহীত সুর,বিষয়,শব্দ ও স্তবক বিন্যাস,নামকরণ প্রতিটি বিষয় এতোটাই নিঁখুত যেকোন রসিক পাঠকহৃদয় স্পর্শ করতে বাধ্য।কবির কলম উত্তোরোত্তর সফল হোক এই কামনা করি।পরিশেষে প্রিয় কবিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই।