খবরটা সকালেই পেয়েছিলাম,
জীবন গড়তে গেলে ধ্রুবতারার প্রয়োজন হয়,
তিনি ছিলেন আমার জীবনের সেই পথিকৃৎ।
বয়স হয়েছিল কিম্বা ভুগছিলো,
এগুলো সবই মেনে নেবার মত।
আজ আর তিনি নেই, তাও স্বাভাবিক।
তবুও বিরাট একটা গহ্বর পুরো চিত্রটা জুড়েই।


অসুস্থতার খবরটা প্রথম যেদিন এসেছিল,
তখনও লকডাউন বয়সে কিশোর!
দিনের পর দিন মৃত্যুমিছিলে-
তাঁর কোমল হৃদয়ের বাঁধ ভাঙছিলো।
না বাঁচার স্বপক্ষেই রসদ খুঁজে পাচ্ছিলেন -
ওই মহামারীর ওই শিহরিত আতঙ্ক হতে।
দাপুটে লোকটাও ক্রমশঃ ঝিমিয়ে যাচ্ছিল।


এবার তাঁর হৃদযন্ত্রের বিদ্রোহ শুরু,
নার্সিং হোম বা ঘরোয়া ডাক্তার সব উবে গেছে।
শুধু পাশের বাড়ীর এক লেডি ডক্টরই ভরসা,
দায়িত্ব নিয়েই যতটা সম্ভব শুধু রিলিফ দেওয়া।
মেডিক্লেমের যাবতীয় কর্মকান্ডই,
আজ করোনার জেরে বিশ বাঁও জলে,
খরচা করার সামর্থ্য থাকলেও
অবস্থার প্রতিকূলতার জাল আষ্টেপৃষ্টে।


নাঃ! আমি যেতেও পারিনি একবার।
আমিও যে পেসমেকারের দখলে,
আমার ওপরেও সকলেরই দারুণ নজর,
এছাড়াও যাতায়াতের অসুবিধা!
অপেক্ষায় ছিলাম একটু সুযোগের।
একটু শিথিলতা,
পরিবেশের স্বাভাবিকতা সামান্যই ...


হলো না,
লকডাউন দফায় দফায়  বাড়তে বাড়তে,
শিথিলতার আগের দিনই খবর এলো,
সারাজীবন যে সবাইকে ছায়া দিয়েছিল,
তাঁর সেই অমূল্য জীবন প্রয়াণের,
আমি যেতেও পারলাম না।
এতটা অমানবিকতাও কী তাঁর প্রাপ্য ছিলো?
মৃত্যুর আগে থেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে...
করোনার আক্রমণ কি এর থেকেও দুঃসহ?


****************************


***আমার জামাইবাবু ১৬/০৫/২০ তে
প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর মেয়ে ১৯/০৫ এ
শ্রদ্ধাবাসরের কথা ভেবেছেন। পুলিশ
অনুমতি পেলে যাব,আজো অনিশ্চিত।
শেষ পর্যন্ত অনুমতি পেলাম না।