ঘুম ভাঙতেই ঘুমিয়ে পড়ল চোখ
নিশ্চুপ চারপাশ শোনে আর বিশ্‌শাস করে পোক্ত
চোখেরা তখনও বন্ধ রেখেছে পাতার কর্ম ব্যস্ততা।
আলোর অতুভুতি আছে কিন্তু ফাগুনের উথাল হাওয়া পৌঁছচ্ছেনা
সারি সারি মুঠোফোনের তরঙ্গ এপাশ ওপাশ খুঁজে বেড়ায় হোলদে-শাদা
টাওয়ারের পর টাওয়ার।
মানুশগুলো এলোমেলো, দাঁড়িয়ে, চারপাশে কোলাহল
গোধুলি পড়েছে পশ্চিম আাকাশে অথবা ইশান কোনে
আসমানের এখনো তাড়ানো হয়নি পাখিরদল— ।
বেছানার অগোছালো বালিশ-কাঁথা ফোঁড়কাটা দাগ বরাবর এগোতে চায়!
আঙুল সরজমিনে দেখতে চায় ঠোঁটের মাপ তার কতটুকু ব্যত্যয়
কান্নায় কতশতাঙশ লোনা আর কত একর বিরানবিরহ
                                         দির্ঘ শাঁসের পর দির্ঘ শাঁস।
ছিলাম কিন্তু এখন নেই!
ক্যানভাস, পুরনো ডায়রি, কলম, তুলির ডগায় রঙ, পথ ভুলে যাওয়া।
চোদ্দ হতে বেড়ে একুশ ইঞ্চি বর্ধিত এলিডি টেলিভিশন,
দু’ হাজার তেরোর দাগকাটা ক্যালেন্ডার,       আর …
অহেতুক জড়িয়ে জাচ্ছে পায়ে পায়ে।
রুমটা ভর্তি শুধু প্রশ্ন, আর কত— মরার ঘুমে ভাঙ্গন পড়বে আর কখন?
তখনও অস্তিত্‌ত ছিল অথচ কেউ ছিলনা, জেগে থাকা ঘুমটার আদর বুঝবে।


সকালের আঙিনায় আঙুলে আঙুল ছুঁয়েছি দির্ঘ শতাব্দি
বকুলের সজিব মালাটা শুকিয়েছে দির্ঘ শতাব্দি
বাঁ’ হাত বেঁধে ছিল দির্ঘ শতাব্দি
সফেদ সুতোটি ছিল দির্ঘ শতাব্দি
অথচ সেদিনটায় রাগ দরবারির গাম্ভির্জে প্রেম ছাড়া সব ছিল
কিন্তু এখন?


আমার দুটো চোখ ভেঙে নামে শুধু ঘুম!
তোমার পতিব্রতার সময় হতে জদি কিছু দান পায়!
ঘুম।


০৯/০২/২২
০১ঃ০২পিম