বন্ধন-
যেন শিল্পীর ক্যানভাসে তুলির আঁচড়,
সবুজ ধানের ডগায় ভোরের সূর্যশিশির।  
পালতোলা নৌকোর দাঁড়টানা মাঝি।
শেকড় থেকে শিখরে পৌঁছার স্বাদ যার বুকে।


বন্ধন-
যেন শুভ্র সমোজ্জ্বল ফাগুনী অগ্নিশিখা,
দখিনের বাতাসে মনমাতানো চঞ্চল মহুয়া।
আকাঁবাকা মেঠো পথে গাড়িয়ালের ভাঙ্গা সুর
ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো
বটের ছায়ায় বেড়ে ওঠা
সবুজ ঘাসের গালিচায় বিস্তৃণ ডেইজী।


বন্ধন-
যেন আলো-আঁধারিতে একটু সুরের মূর্ছনা
নৃত্যের তালে পেখম মেলা ময়ূরের মেঘে গুড়ুম গুড়ুম।
সন্ধ্যা আঁধারের সুনসান নীরবতায় ধেয়ে চলা কবিতার সুর।
কখনও জেগে ওঠা একাত্তর, বজ্রকন্ঠের মুজিব;
নাটকের চরিত্র কিংবা উপস্থাপনার গুরুগম্ভীর কণ্ঠস্বর।


বন্ধন-
যেন অহংকারের ছোবলে নীল বর্ণ হৃদয়ে
মাতৃময়ী ভালবাসার কোমল পরশ।
দাম্ভিক হিংসার স্বেচ্ছাচারীতাকে পরাভূত করা
দ্বিগিজয়ী দূর্লভ এক মহান শক্তি।


বন্ধন-
তুমি এগিয়ে চলো।
যতটুকু আছে অশুভ শক্তি, আঁধারের কালিমা;
জানি একদিন আয়েশে লোটাবে আঁধার শীতল ঘরে।
তোমার পদছুঁয়ে জেগে থাকে
আলোভরা স্বপ্নের প্রতিশ্রুতি।