এসেছে বরষা রাণী
রিমঝিম, ঝিম ঝিম।
টাংটুং, টুংটাং।
বৃষ্টিতে ভিজে সব
টুপটাপ, চুপচাপ।
হয়তো গড়িয়ে বল
মাঠে তে-ঘাটে তে,
ঝুপঝাপ-ঝুপঝাপ।
চারিদিক বরষাতে
টিপ টিপ, টুপটাপ।


এলো ঘন বরষা
বৃষ্টির তোড়ে তে,
দৌড়ঝাঁপ-দৌড়ঝাঁপ।
হাঁটাহাঁটি-ছোটাছুটি
সবকিছু ফাটাফাটি।
খালে তে-বিলে তে
ব্যাঙ শুধু ডাকে যে।
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।
বরষার আনন্দে
তারাও তো মাতে রে।


নদী-নালা থৈ থৈ
মাঝি রা সুরে গায়
রৈ রৈ - রৈ রৈ।
চারিদিকে হৈ চৈ
আনো দই, আনো খই।
পটপট- ফট ফট
খই রেডি ঝটপট।
কুড়কুড়-মুড়মুড়
আনো চিড়া, আনো গুড়।
তাল, কুলে,বেলে তে
চাকুম-চুকুম স্বাদ
আহ ! কি মজা রে।


দাদা-দিদি একসাথে
মিলে কাশে খুকখুক,
খুকখুক-খুকখুক।
মিনিটাও কম নয়,
চুরি করে দুধ খায়
চুক চুক-চুক চুক।
মেঘে তে মেঘে
কাড়াকাড়ি-মারামারি
গুড় গুড় - গুড়ুম গুড়ুম গুম।
ছোটাছুটি, পলাপলি
কানে কানে বলাবলি।
মায়ের শাসন-তেজ
কড়াকড়ি- কড়াকড়ি।
তবুও বৃষ্টিতে
একসাথে দলাদলি।


জানালার ধারেতে
এলো চুল এলিয়ে,
গা টাকে আলতো
জানালা তে হেলিয়ে,
রিমি দেখে বৃষ্টি
অপলক দৃষ্টি।
বিদ্যুৎ চমকায়
রিমি সোনা ভয় পায়।


টিনের চালেতে সুর
টুংটাং, টুংটাং।
গাছেতে - গাছেতে
কদমের হাসিতে
কি যে ভালো লাগছে !
চারিদিক একসাথে
শুধু যেন হাসছে।
এসেছে যে বর্ষা
ঋতু রূপ রাণী সে।