ও ভাই বলতে পারো মোরে
লিয়ানার খোঁজ পাই কেমন করে?
লম্বা মত ফর্সা গড়ন, ভার্সিটিতে পড়ে।
খুঁজেছি এ পাড়ায় - খুঁজেছি ও পাড়ায়
এখন তোমার তরে।
যদি পাও তার ঠিকানা দাও না জোগাড় করে।
এক বাড়ি নয় ,দু’বাড়ি নয় তেত্রিশের পরে
এখন তোমার দ্বারে।


জিজ্ঞাসে নজরুল ভাই-
লিয়ানা নামে এ বাড়িতে কেউ আছে?
ভেতর থেকে ভদ্রলোক একগাল হেসে
ছিল ; তবে এখন চলে গেছে।


সঙ্গে ছিলাম জনা দুয়েক রাজ, প্রদীপ মিলে।
হঠাৎ করেই প্রদীপ একনিমিষে বলে
আচ্ছা নজরুল ভাই- ওতো নাচ-গান করে !  
কস্টিউম বানায় পাশের কোন টেইলার্স ঘরে !
চলুন খুঁজি থাকলে ঠিকানা দেবে আমাদেরে।


গিয়ে টেইলার্স ঘরে জিজ্ঞাসে নজরুল ভাই
লিয়ানা নামে কেউ কি এখানে নাচের পোশাক গড়ে?
হেসে দোকানী বলে- নাবিলা নামে তার কোন বোন আছে?
হ্যাঁ বলতেই মুচকি হেসে
দাঁড়ান দেখি, দেখি খুঁজে; আছে কি আমার কাছে?


খাতা ওল্টায়, পাতা ওল্টায়, ফোনবুক চেক করে
০১৭... দিলে বের করে।
অনেক পুরনো, তবু একবার দেখুন চেষ্টা করে
ভাগ্যের জোর যদি একবার ফোন ধরে।


ফোন করতেই ওপাশ থেকে আমি লিয়ানার মা বলছি,
আর এপার থেকে আমরা তখন সুখের হাসি হাসছি।
অলস দুপুরের ক্লান্তি-ক্লেশ যেন কোথায় গেছে উবে
চৌত্রিশ দরজা ঘুরে পেয়েছি লিয়ানাকে।