গভীর রাত দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যাবার পর ঘুমে টলমল দুচোখ মেলে দেখি
একটা সুমশাম ঘর,
খাটের পাশেই একটি টেবিল তাতে সাজানো জরাজীর্ণ কিছু বইপত্র
তারই পাশে কিছু চুড়ি ও একটি শুকনো গোলাপের পাপড়ি পড়ে আছে।


কী বেদনায় হাহাকারে বাসা বাধে বুকে,
দেয়ালে টাঙ্গানো বহু পুরোনো ঘড়ি
খটখট আওয়াজ তুলছে বারংবার
আমার ডানে,বামে ঘিরে রয়েছে পাহারায় শুন্যতা।


এখনো মাঝ রাতের নূপুরের শব্দে চমকে উঠি,
ভীষণ পুড়ে বুকের বাম পাশটায়
কে যেনো আগুন জ্বেলে যায়
আকাশে চাঁদ উঠেনি আজ
তাই রাত্রিটাও ভাঙছে ভীষণ দহনে!
অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে
পুরোনো স্মৃতিরা ইশারায় ডাকে
আমার বনহর্ষি ইচ্ছেরাও সাড়া দিচ্ছে তুমুল বাধনহারা সেই  কৈশোর বয়সীর দুরন্ত ডানপিঠে মন,
কনকনে শীত ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট
আজ ভীষণ মনে পড়ছে তোমার কথা,
চোখের সামনে ভেসে উঠছে তোমার মিষ্টি হাসি, হরিণী দৃষ্টি
মেঘ কালো চুল নিঃশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে বুকে শিহরণ জাগাচ্ছে পুরোনো প্রনয়।


স্মৃতিরা যে বেপরোয়া এ পৃথিবীর প্রেমিক প্রেমি জানে,
আমি ও আমার সমাধি বন্দী স্মৃতির কাছে।