হঠাৎ বুকের ভেতরে
             কেমন শূন্যতা অনুভব করলাম
বিদ্যালয় ছেড়েছি হয়েছে অনেক বছর।


আবেগ, আনন্দে, মজায়, দুষ্টুমিতে
            শৈশব, কৈশোর কেটেছে সেখানে
কেটেছে, অনেক প্রহর।


বিদ্যালয় গড়ে দিয়েছিলো
জীবনের পথ চলার ভিত্তি,
আদর্শবান হওয়া শিখিয়েছিলো
জাগিয়েছিলো চেতনা শক্তি।


যুগিয়েছিলো অনুপ্রেরণা
সদা থাকতে সত্য পথে,
ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করে
কর্তব্যপরায়ণ হয়ে চলতে।


জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিলাম এখানে
গেয়েছি বেঁচে থাকার গান,
বড় হওয়ার সঠিক দিকনির্দেশনা পেয়েছি
সাফল্যের মূলমন্ত্রে দিয়েছি শাণ।


ছোট্ট চারাগাছ হয়ে এসেছিলাম
শিক্ষকেরা করেছিলো পরম যত্ন,
তাদের ছায়াতলে হয়েছি বিশাল বৃক্ষ
যুগিয়েছেন সাহস, দেখতে বড় বড় স্বপ্ন।


এই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ জন্ম দিয়েছে
কত সচিব, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার
দেশের সেবায়, দশের সেবায় নিয়োজিত তারা
বিদ্যালয় যেন এক রত্নভান্ডার।


এখানে পেয়েছিলাম খুঁজে
কিছু অমুল্য বন্ধু-সহচর,
শ্রেণিকক্ষের ভিতরে-বাইরে কত স্মৃতি
কাটিয়েছি একসাথে অনেক প্রহর।


পড়া না পারলে স্যারের হাতে মার খাওয়া
কান ধরে উঠা-বসা,
বন্ধুদের সাথে টিফিন পিরিয়ডে পালিয়ে যাওয়া
ভুলতে কি পারি সহসা?


কত স্মৃতি আজ মনে পড়ে যায়
মনে পড়ে ফেলে আসা দিনগুলি,
রোমন্থন করি কাটানো শ্রেষ্ঠ সময়
এত সহজে কি করে ভুলি?


শৈশবের বিদ্যালয়, প্রাণের বিদ্যালয়
তুমি যে স্মৃতিবিজড়িত স্থান,
তুমি রবে মনের মনিকোঠায়
হৃদয়ে চির অম্লান।