আকাশের রুপালী আলো
তুমি যদি একবার পূর্ণ আবেগে
আমার হৃদয়ে পূর্ণিমা ঢালো।
অনুরাগ উচ্ছ্বাসে
আলোকিত হয়ে যাবে
হৃদয়ের শূন্যতা কালো।


হারাবে আমার মন
গাছে ঘেরা সবুজ বাগানে
মেহগনি দেবদারু শাঁখে
দীপ্তির চাঁদোয়া বিছাবে
সীমাহীন রুপালীর ঝাঁকে।


শূন্যতা আমার সে তো প্রার্থনা জানাবে
যেন তার আলো
শিশির শুভ্রতা মেখে হয়ে যায় হাত
যে দুটো হাত ধরে কাটিয়ে দেব
জীবনের অগণিত স্মৃতিময় রাত।


যেন তার আলো
রূপ নেয় চুলে
সোনা রং কুন্তলে মনটা হারাবে
জীবনের সীমাহীন বক্রতা ভুলে।


তারপর রুপালী আলো
রূপ নেবে সাগরের জলে
যার সুধা পান করে যাব
নিষ্কাম ভাবাবেগ মেখে।


গাছে ঘেরা জলাশয় পাশে
হৃদয়ের আলো হীন কুঞ্চিত ঘরে
এভাবে ছড়ায় যদি পূর্ণিমা আলো
ঝরাপাতা ফাল্গুনে যেভাবে ছড়ালো।


(বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ১৯৯৬, ২ কার্তিক ১৪০৩, ৪ জামাদিউসসানি ১৪১৭)
কবিতাখানি মধ্য কিছুটা পরিবর্তন করে একে দ্বিতীয়বার সম্পাদন করেছি।)


আকাশের রুপালী আলো
তুমি যদি একবার পূর্ণ আবেগে
আমার হৃদয়ে পূর্ণিমা ঢালো
অনুরাগ উচ্ছ্বাসে
আলোকিত হয়ে যাবে
চিন্তার শূন্যতা কালো;


হারাবে আমার মন
গাছে ঘেরা সবুজ বাগানে
পাখিদের বাসা আর দেবদারু বনে
নকশী কাঁথায় আঁকা নক্সা বিছাবে
মোহনায় অপূর্ব পূর্ণিমা চাঁদে;


শূন্যতা আশা থেকে প্রার্থনা হবে
যেন তার একটু আলো
শেফালী ফুলের মালা আর দুটি হাতে
দশ আঙ্গুলে হবে অনন্ত রূপ
জীবনের অগণিত স্মৃতিময় রাতে।


যেন তার টুকরো আলো
বিমূর্ত এলোমেলো চুলে
সোনা রং কুন্তলে হৃদয় হারাবে
জীবনের সীমাহীন অনিয়ম ভুলে;


সন্ধ্যায় রুপালী আলো
রূপান্তরিত হবে অবারিত ফসলের মাঠে
অমিয় শরাব আর নেশা হীন ঘ্রাণ
অঝোর বৃষ্টি ঝরা হৃদয় শ্রাবণে;


গাছে ঘেরা গোলাকার জলাশয় পাশে
অন্তরে আলোহীন কুঞ্চিত ঘরে
অন্ধের পৃথিবীতে পূর্ণিমা আলো
ঝরাপাতা ফাল্গুনে যেভাবে ছড়ালো।


[ঢাকা, সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ ২৬ আষাঢ় ১৪৩০, ২১ জিলহজ ১৪৪৪]