এমন একদিন–
বসে আছি জানালার পাশে!
ঘুম নেই
পাখিদের কোন আওয়াজ নেই
মানুষের তীব্র কোন শব্দ নেই
নেই কোন হৈ-হুল্লোড়, ঝঞ্জাট।
শূন্যতা ভরে আছে রাতের আকাশ।
মনে হয় পৃথিবীটা নারীর মতন–
বধু সেজে মেতে আছে। চোখের পাতায়।


রাতের পৃথিবীটা–এককোটি মানুষের!
প্রভাতের রূপখানি সবার।


রাতের প্রেমেতে–মজে আছে চোখ!
বসে আছি ফাঁক করে বাতায়ন খুলে।
অনাগত রাতের শরীরে যখন–
নিজেকে নিলাম আমি জড়ায়ে। তখন–
কে যেন হাসি মুখে দাঁড়ালো এসে–
আমার চোখের পরিবেশে!
চোখ তাই অবশেষে আত্মহারা...


চোখের পৃথিবীতে অনেকেই আসে
তারপর উড়ে যায় পাখির মত
কেউ কেউ থেকে যায়। ভ্রমণ শেষে–
প্রেমের রঙিন এক মায়ার টানে!


এমনও একদিন বসে আছি একা
আকাশের বুকে নেই আলো
নেই কোন হাসিখুশি রাতের মনে
বিষন্নতা ছুঁয়ে আছে বুকের জমিন।


সিগারেট–ধোঁয়াতে ঘরখানি বেয়ারাম!
চিন্তিত টেবিলের–কলম আর খাতা!
থেমে আছে কবিতার শরীর আঁকা!
হাতে নেব এইবার মদের বোতল–
হঠাৎ ছুটে এলো। মনে হয় নারী?
এককোটি সেকেন্ড সে, দাঁড়াল তবে–
চোখের পৃথিবীতে আঁকব বলে–
হাতে নেই, একআকাশ রঙ্ধুনু রঙ!
মুহুর্তে রমণীর প্রস্থান প্রস্থান...
ঠোঁট বলে এইবার সিগারেট টানো!


সেই থেকে রাত যায়। রাতের গভীর যায়!
যেতে-যেতে বিরহের বারোটি বছর যায়,
তবু কেন বাতায়ন খুলে রাখি জানো?


চোখের পৃথিবীতে অনেকেই আসে–যায়।
কেউ কেউ থেকে যায়। প্রেমের টানে...