দুই বাংলার কবিদের কবিতার ব্লগ বাংলা কবিতার
কাব্য সংকলনের মোড়ক উন্মোচন শতরূপে ভালবাসার।
আহবায়ক পরম শ্রদ্ধেয় কবি, কবীর হুমায়ূন ভাই,
আমি সুদূর যশোর থেকে অংশগ্রহণ করতে যাই।
বাংলা একাডেমী চত্বরে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি পর
কাউকে না পেয়ে কবীর ভাই'কে ফোন দিলাম অতঃপর ৷


বললেন নজরুল মঞ্চের পিছনে ঘাস-ফড়িং-এ দাঁড়াতে,
কিছুক্ষণ বাদে এলেন তিনা ব্যানার ফুল ও মিষ্টি হাতে।
আমি দেখা মাত্র তাঁকে চিনে ফেললাম খুব সহজে
আমাদের দুজনার আলাপচারিতা গেল বেশ মজে।
তারপর সাবলীল মনির ভাই, মাসুম ভাই, কামাল ভাই,
সরকার মুনীর ভাই এলে, লেখক আড্ডায় গেলাম সবাই।


আমাদের অনেকেই কেউ কাউকে আগে দেখি নাই
কারো সাথে রক্ত বা আত্মীয়তার সম্পর্ক নাই।
কিন্তু মনে হল আমরা একে অপরের কত আপন
কারণ এ রক্তের চেয়েও বড় বন্ধন-কবিতার বন্ধন।
অনুষ্টানের শুরুতে আমি আর কবীর হুমায়ূন ভাই
ব্যানারটা বাঁধলাম লেখক আড্ডার দেওয়ালের গায়।


সাবলীল মনির ভাই, সরকার মুনীর, কবীর ভাই মিলে
বইয়ের গায়ে ‌র‌্যাপিং পেপার জড়াতে লাগলেন সকলে।
মাঝে মাঝে মাসুম ভাইয়ের হাস্য-রসাত্মক কথা শুনে
হাসিতে ফেটে পড়ছি আমরা কবি'রা ক'জনে।
এরই মাঝে আনিছুর রহমান ভাই চট্ করে এসে
একটি করে চকোলেট হাতে ধরিয়ে দিলেন হেসে!


আনিছুর ভাইয়ের হাতের চকোলেট গালে পুরে
সবাই বেশ মেতে উঠেছি গল্পে আড্ডাঘর জুড়ে।
কবীর ভাই ও সরকার মুনীর ভাই বাংলা একাডেমিতে
মাইকে প্রচারের জন্য গেলেন সেথা দু'টি বই দিতে।
তারপর জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ভাই দিলেন ফোন
আমি বললাম আমরা সবাই লেখক আড্ডায় এখন।


পাঞ্জাবী পরিহিত, গাঢ় সবুজ রং-য়ের মায়া
তার সাথে এলেন নবীন কবি প্রভাতী স্বপ্নছায়া।
এরপর জাগৃতিতে গেলাম আমি কবীর ভাই ও মাসুম ভাই
সেখানে গিয়ে কাজী নাহিদ আক্তার ঝর্ণা আপা'কে দেখতে পাই।
কবি রুহুল আমীন হৃদয় আমায়, বার বার ফোন করে যান
তিনি আমাদের খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট পান।


এরপর নজরুল মঞ্চে প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে
মোড়ক উন্মোচন শুরু হল খুবই দ্রুত গতিতে।
এর মাঝে খায়রুল ভাই-য়ের তাড়াতাড়ি এসে প্রবেশ
দাঁড়ালেন একেবারে আমার গা ঘেষে, লাগল খুব বেশ!
সহসা এক অজ্ঞাতনামা কবি এসে অনুষ্ঠান করলেন সঞ্চালন
এটিএন বাংলার সাংবাদিক এসে জানতে চাইলেন বিবরণ।


নান্দনিক বক্তব্য রাখলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি
কবীর হুমায়ূন ভাই সকণ্ঠে একটি কবিতা করলেন আবৃত্তি ৷
অনুষ্ঠান শেষে সরকার মুনীর ভাই করলেন মিষ্টি বিতরণ
মাসুম ভাই ছবি তোলার কাজে ব্যস্ত সারাক্ষণ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিসহ অনেক কবি
বটের ছায়ে বিভিন্নভাবে তুললেন কত ছবি।


তারপর সবাই মিলে জাগৃতি প্রকাশনীর সামনে গিয়ে
ব্যানার টানিয়ে গেলাম দাঁড়িয়ে সবাই লাইন দিয়ে।
দেশ টিভির ক্যামেরা প্রধান অতিথির বক্তব্য করল ধারণ
কবীর ভাইও অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে দিলেন কিছু বিবরণ।
এরপর আমরা এক চায়ের দোকানে সমবেত হলাম দাঁড়িয়ে
সবাই মিলে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা- চলল খুব জমিয়ে।


খায়রুল ভাইয়ের সৌজন্যে চা খেতে খেতে হলাম মগ্ন
বুঝতেই পারলাম না কখন আনন্দে কখন কেটে গেল লগ্ন।
চা পান করে সবাই শুভেচ্ছা বিনিময় করে
প্রস্থান করলেন সবাই নিজের নিজের পথ ধরে।
বাসের টিকিট কাটবো এমন সময় অনিরুদ্ধ বুলবুল ভাই
সহসা আমার মোবাইলে ফোন করলেন সন্ধ্যায়।


জনাকীর্ণ লোকের মাঝে আমায় করলেন আবিষ্কার
তার সাথে যেতেই হল, শুনলেন না কথা আমার।
সারারাত গল্পে-কথা কথায় কাটিয়ে সময়
ওখানে বসে ফোনালাপ করলেন আগুন নদী ভাই।
বই মেলায় আসা সার্থক, এটা বিরাট বড় পাওনা
অবশেষে রবিবার সকালে বাড়ির দিকে দিলাম রওনা।


রচনা : ১৬.০২.২০১৫ খ্রিঃ