আমাকে আপনি বলে ডাকবি নে কোনদিন
দেখিসনে রক্তজবা লাল সিঁদুরে
চমকায় কেমন ওই কপোলে ?
তুই দেখিসনে আলতা পায়ে
হৃদয়ের শাখা প্রশাখায় কেমন করে
অবাধ বিচরণ রূপালী মানবীর?


তোর শব্দহীন চোখের ভাষায়
আমাকে খুব লুকিয়ে দেখার মত
শ্রাবনের জলধারায় সব অনুযোগ
গোপনে পাঁপড়ি মেলে ধরার মত
আমি কোন কালেই বর্তমান বৈ অতীত ছিলাম না।


দীর্ঘশ্বাসের মত একা হইনি কখনও
আমি নির্যাসহীন হিমঘরে গুনবো না প্রহর
সোনালী ফড়িঙ হয়ে ষোড়শীর মত
নির্জন নদীকে চঞ্চলা হরিণীর মত
ছলাত ছলাত বইয়ে দেব মৌটুসি হয়ে।


সময়ের সিঁড়ি ভেঙ্গে পকেটে ভালবাসার খড়কুটো
দিয়ে হলদে তৃণ হয়ে জন্মাবো বার বার
আবারও বলছি, আমার অতীত পছন্দ নয়
আমাকে তুই বলেই ডাকবি
আপনি সম্বোধনটা খুব দূরে ঠেলে দেয়
যেন দূরের অনড় পাহাড় কিংবা সমুদ্রের গর্জন
যেখানে  পঙক্তির মিছিল, সেখানেই আমাকে নিয়ে
লিখা হবে কবিতা , আমি হব মুল চরিত্র।


ক্যাকটাসের কাঁটার মাঝেও
আমি ফুলেল সৌরভ ঢেলে দেব নির্দ্বিধায় ।
আমি খয়েরী আঁধার টপকিয়ে হলুদ বিকেলে
অরণ্যের  শূন্যতা ঘুচিয়ে প্রকৃতি ও নারীর
সৌন্দর্যে শত প্রহেলিকা ভেদ করে
সুহৃদ সখ্যতার ইতিহাস লিখে যাব।