সেই কবিটা আজও লেখে
স্নিগ্ধতাময় ছড়া ;
সেই কবিটার খাতার পাতা
কবিতা দিয়েই ভরা।


সেই কবিটার শুষ্ক চুলে
উকুন পোকার বাসা ;
সেই কবিটার জীর্ণ পোশাক,
দারিদ্র্যতায় ঠাসা।


সেই কবিটা বৃদ্ধ মানুষ,
কর্ম করা কঠিন ;
সেই কবিটার শুকনো চোখের
স্বপ্নগুলো মলিন।


সেই কবিটা ডায়েরিগুলো
অল্পদামে কেনে ;
সেই কবিটা জগৎটাকে
ভীষণভাবে চেনে।


সেই কবিটার পান্তা-ভাতে
নুনের জোগাড় নেই ,
সেই কবিটার খড়ের চালে
টালির লেপন নেই।


সেই কবিটা উনুন জ্বালায়
খড়ের আঁটি দিয়ে ;
সেই কবিটা হয়না হতাশ
এরূপ জীবন নিয়ে।


সেই কবিটা ভীষণ জেদি
কাব্য লিখেই বাঁচে ;
শক্ত এরূপ বুকের পাটা
আর কি কারোর আছে?


অভাব নিয়েও সেই কবিটা
কলম থামায় না ;
সেই কবিটার কষ্ট বোঝা
সবার সাধ্য না।


সেই কবিটাই ছন্দ বোনে,
শব্দ নিয়ে খেলে ;
সেই কবিটাই কবিতা লিখে
মনের কথা বলে।