শিরোনাম দেখে ভাববেন না কবি শান্তনু ব্যানার্জির আখড়ায় নাড়া বেঁধেছি। এটা আমার তরফ থেকে বিধিমত সতর্কীকরণ।
আসরের কবিদের কিছু বলার নেই। ওনারা ঠিক করেই ফেলেছেন , যা প্রাণে চায় লিখবেন।  মিলিয়ে লিখলে, রথে পথে না মিলিয়ে , ফাগুনে আগুন না দেখে সওয়ারীর সাথে তাড়াতাড়ি মেলাবেন।  প্রেমে ধোঁকা খেলে খোলা চিঠির আদলে কবিতা লিখে বদলা নেবেন , প্রকৃতি বিষয়ে লিখলে জসীম উদ্দিন আর জীবনানন্দের ঘন্ট পাকাবেন , আলোচনায় অম্লান বদনে অন্যের ব্লগ থেকে টুকে দেবেন।  এর মধ্যেও বেশ কয়েকজন বেশ ভালো লেখেন।  তবে যারাই অল্প দিনে অনেক লিখেছেন , তাদের নিজের পুরনো লেখা পড়ার খুব প্রয়োজন।  গোলকধাঁধায় ঘুরছেন নাতো ?


আমার এই নিবেদনের মূল লক্ষ্য সেই সব মন্তব্যকারীরা , যারা নিজের পাতায় ভীড় টানতে , সবার কবিতায় গিয়ে নির্বিচারে কবিকে উত্সাহ বর্ধন এবং শুভেচ্ছা বিতরণ করেন।
এরা প্রধানত দুই ধরনের , প্রথমত - কবিতা টা যে কি তাই বোঝেন না।  না বুঝেই 'অতি সুন্দর লেখনী ' গোছের মন্তব্য করেন। কবিতাটি পুরো পড়েন না। ( ভালো কবিতা তো একবার পড়েও  বোঝা মুশকিল) পড়ার দরকারই বা কি ? যাই হোক, সব কবিতায় এক বিচার। অতি সুন্দর লেখনী । লেখনী মানে তো লেখার সামগ্রী।  যাক সে কথা।  
যারা পড়ে বোঝেন , যে যেটা পড়ছেন সেটা আর যাই হোক কোনো মতেই কবিতা নয় , তারা বিতর্কে যেতে চান না। জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবার আশংকা।  এদের মধ্যে যারা চুপ করে থাকেন , তাদের পাপের ভাগটা কম , কিন্তু যারা জেনে বুঝে বাজে লেখাকে উত্সাহিত করেন , তারা ভবিষ্যতের কাছে উত্তরদায়ী থাকবেন।
কি হবে সত্যি বললে ? কিছু অবোধ পাঠক কমে যাবে , মন্তব্যের সংখ্যা কমে যাবে।  
আমাদের ডাক্তারবাবু বলতেন , " দুষ্ট দাঁতের থেকে শুন্য চোয়াল ভালো। "