আদম পাহাড়ের মতো উঁচু স্বপ্ন নিয়ে
তোমাদের অষ্ট মঙ্গল দিষ্ট পুরট গালিচায়
আমি দাঁড়াতে আসি নি-
তোমাদের পূরাণভূমিতে আমি বীণার হাহাকার বাজাবো
কোন্ সাহসে,
খ্যাতির সরে ভরে গেছে তোমাদের রথযাত্রা-
সমাসঙ্গ স্বগণ কান্তলোহার মতো সাজায় তোমাদের বেহুলাবাসর ।
তবুও আমি ফিরে আসি-
গ্রন্থগৃহ থেকে মণিকার বেশে সভ্যতার মাটি চিরে
একদিন তোমাদের বটবৃক্ষের ছায়ায় ছড়িয়ে দেবো
পিঞ্জান ভরা শুখো সারাৎসার, বিদীর্ণ ধনির হাহাকার ।
চন্দ্রাহত রিরংসাকে স্রষ্টার ঘুমন্ত নেকাবে রেখেছি ঢেকে-
একদিন আগুন পোড়া পঙ্গুল প্রজাপতি হয়ে
তোমাদের সামনে দাঁড়াবো এই ভেবে-
নিদ্রাবিরহিত কবির চোখের কাজল মুছে দিতে হাত বাড়াবে কেউ-
এই আশাতে নয় ।
দিগন্তের বিরানভূমিতে নিঃসংজ্ঞ মাটির অধরে আমি কণ্ঠলীন
ভ্রমণে অবিশ্রান্ত এক সত্তাহীন রথ দর্শক ।
তবুও আমি ফিরে আসি
পুরাতত্ত্বের পাতাল বিদীর্ণ করে তোমাদের বৈপরীত্ত্যে
লাস্যময়ী অবন্তীকে তোমাদের জিগমিষা দেখাবো-
এই আশাতে নয়
বরং অনুরোধ করি, হে কবিগণ, তোমাদের কাকনিদ্রার ফাঁকে ফাঁকে
একবার হলেও দেখে নিও
এক নবীন ভ্রামণিকের শিরোনামহীন অবন্তীকে:
যদি মনে হয়, অবন্তীর অভিষ্যন্দ জল তোমাদের পবিত্র কপোলে
লেপটে দিবে শ্মশানের ভস্ম, তাহলে হৃদয় কপাটে
মৌমাছির নিষ্ঠীবন মেখে মহাকালের আয়নায় দেখে নিও
অনাদিকালের যাত্রা ।
তবুও আমি ফিরে আসি, বুদ্ধের চিত চিচ্ছায়, যিশুর যন্ত্রণায়
আর মুহম্মদের মোহবাণীতে
অথবা অন্যরূপে আরও প্রাচীনে- মৌজ মহাদেবের মৃদঙ্গের সুরে সুরে
উর্বশীর চুমকুড়ি তালে হাজারো অপ্সরার নাচে
হৃদয় মগজের ভাজে ভাজে
যখন অজস্র কবিগণ মহুয়াবনে মদিরা পানে মঞ্জিমা খোঁজে
আমি তখন তোমাদের কর্ষিত জমিনে পোয়াতি ফসল উড়িয়ে দেই
নবীন মেঘের দেশে, কোন এক অবন্তী নগরে-
এভাবেই আমি ফিরে আসি
সহস্র জনপথ পাড়ি দিয়ে
শুধু তোমাদেরই মাঝে ।