নিজের নাড়ী ধরে অনুভব করি তার সচলতা-সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।
বুকের উপর হাত রেখে পাই আদিম পৃথিবীর ছোঁয়া-সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।
নিঃশ্বাসে অনুধাবন করি ঈশ্বরের সুপ্রাচীন সঙ্গীত-সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।
একে একে পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গে
কান পেতে শুনি আদম সৃষ্টির ইতিহাস- সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।


আরো গভীরে যাই-আমার অন্দরমহলে অজস্র আলোকণা ধেয়ে চলছে
প্রজ্জ্বলিত মহা আলোর দিকে-সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।
সেখানে খেলা করছে একদল রহস্র, রহস্রের ঘূর্ণিপাকে-সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।
আরেকটু সামনে এগিয়ে দেখি-
আসমান সাজানো রয়েছে আসমানের উপর - সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।


তবুও সামনে এগিয়ে যাই-
দেখতে পাই প্রাচীন পিতা আদম জপছে আল্লার নাম-সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।
দেখতে পাই মনু শ্রুতিতে জপছে বেদ, চণ্ডী ও উপনিষদ
দেখতে পাই হাওয়া ও শতরূপা-দু’জনেই জপছে এক অভিন্ন সত্ত্বা- সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।


সেখানে দেখতে পাই নুহ,  ইদরিস , হুদ,
সালেহ , ইবরাহিম , লুত,
ইসমাঈল, ইসহাক ,ইয়াকুব, ইউসুফ, আইয়ুব ,
মুসা,  ইউনুস , দাউদ,
সুলায়মান,  ঈসা , মুহাম্মদ –গাইছে তারা আল্লাহর গুণগান-সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই ।


দেখতে পাই অসংখ্য অবতার নিমগ্ন সুখে তারা গুণছে –
সত্য, ত্ৰেতা, দ্বাপর এবং কলি যুগের বিচিত্র বাহার- সেখানে
একটুও ছন্দ পতন নেই,


মহলের এককোণে বসে আছেন ধ্যানমগ্ন
গৌতম বুদ্ধ--জপছে ‘ঈশ্বর তুমি আছো নাকি নেই’
সেখানে একটুও ছন্দ পতন নেই ।


-এমন সময় এক মহা আলো শুষে নিলো সকল আলো কণা;
উদ্ভাসিত সেই মহা আলো ঘূর্ণিপাকে ঘুরছে অবিরাম- সেখানেও
একটুও ছন্দ পতন নেই ।
২৬/০৪/২০২০