১২ই জুন,গ্রীষ্ম দুপুরে এক স্বপ্ন পাড়ি দিল আকাশে,
আহমেদাবাদ ছেড়ে লন্ডনের পথে,সাদা মেঘের বাসায় ভেসে।
হঠাৎই ভাগ্য কড়া নেড়ে দিল,বিস্ফোরণ নেমে এলো ঝড়,
বিজে’র ক্যান্টিন ছাদের বুকে নামল মৃত্যু,থেমে গেল পথচর।
হঠাৎই নেমে এলো বিস্ফোরণের ধ্বনি,হোস্টেলের ছাদে আগুন,
চুপ করে গেল ক্যান্টিনে হাঁসির ঢেউ,থেমে গেল প্রাণের গীতির ধ্বনিন।
কাঁপে ক্লাসরুম,বোবা দেয়াল—নীরবতা গিলে নিল হাসি,
চাল-ডালের পাশেই পড়ে রইল অজস্র স্মৃতির নাশী।
তুলে নেওয়া হল জীবনের নামতা, এক নিমিষে ভেঙে গেল গল্প,
স্মৃতির পাতায় পুড়ে গেল কত অদেখা ভবিষ্যৎের তর্পণপলক।
একটি মেয়ে, একটু দেরিতে পৌঁছানোয় পেল জীবন ফিরে,
একটি ছেলে,বেঁচে রইল ধ্বংসস্তূপে,নীরবতার সীমানাতে ঘিরে।
বিমান ছিল তাঁর স্বপ্নের চাবি,সময়ের পাথরে থেমে গেল গতি,
একটুখানি দেরি যেন জীবনের দান,এক আশ্চর্য রীতি।
খাবারের প্লেটগুলো এখনো টেবিলে পড়ে আছে,
একটা অসমাপ্ত দুপুর, আর চিরকাল অসমাপ্ত কিছু স্বপ্ন।
মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে গেটের ধারে নীরব,
যেন এক পৃষ্ঠা বাদ গিয়েছে জীবনের কাব্য-গ্রন্থ থেকে।