ও আরাফাহ! ও ধূলিমাখা মরু,
তোমার বুকে আছে রহমতের তরু।
পাপীরা আসে, চোখে অশ্রু ঝরে,
আল্লাহর কাছে হাত তুলে ধরে।

হজের কাফেলা চলেছে ধীরে,
লাব্বাইক ধ্বনি বেজে উঠে তীরে।
“লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক”—
প্রাণ কেঁপে ওঠে সেই সুরে এই রৈখ!

তাওহিদের শপথ, জান্নাতের আশা,
প্রভুর নৈকট্যে পায় আত্মা ভাষা।
কাবার নীলে যে সাদার ঢেউ,
তারই মাঝে হারায় জীবনের কেঁদু।

সেই ঢেউ বয়ে যায় আরাফার পথে,
ক্ষমার ধারা নামে আসমানের ছাতে।
আমি তো যাইনি, তবু মনটা গিয়েছিল,
আরাফার বুকে কান্না হয়ে ঢেলেছিল।

দূর হতে চোখে জল, হৃদয়ে ডাক,
"ইয়া আল্লাহ! আমাকেও দাও হজের হাক।"
সেই প্রান্তরে আল্লাহ নেমে আসেন,
ভালোবাসা দিয়ে গোনাহ মুছে দেন।

তাকওয়ার ঝর্ণা ঝরে প্রতিক্ষণে,
ফেরেশতারাও হাসে রহমতের বানে।
একদিন হয়তো আমিও যাব,
হৃদয়টা আমার তোমায় ছুঁয়ে দেখবে।

সেইদিন আমি বলব সিজদায় ভরে,
"তুমি ছাড়া কেউ নেই এই পাথুরে ধরণিতে রে!"
হে আরাফাহ! অপেক্ষা করো আমার,
এই কবি একদিন আসবে প্রাণভরে বারবার।

কলমটা আমার আজ কাঁদে হিজরতের নামে,
মাফের মিনারে আমি গাইবো সেই সুরে, সেই তামামে।