চোখে তার ঈদের সকাল — চুপচাপ,
মনে তার যাকাতের ছায়া, নয় স্বপ্নে রঙিন ছাপ।
ধূলো-মাখা পায়ে দাঁড়িয়ে দূরে,
গরুর কোরবানির দৃশ্য দেখে — নয় কাছে সুরে।
ঘরটায় নেই কোরবানির ডাক,
চুলায়ও নেই ঝোলে মাংসের পাক।
তবুও হৃদয়ে তাকওয়ার দীপ,
আল্লাহ্র নামে জ্বলে সে শিপ্।
ঈদ আসে ধনী সাজে — গোশতের থালা হাতে,
আর সে দাঁড়ায় হাসিমুখে, লজ্জা ঢেকে ক্ষুধার রাতে।
ছেলেটা বলে — “মা, গরু দেখেছি, কত্ত বড়, কত্ত দামি!”
মা চোখ মুছে — “বাবা, তোমার তসবিহ তো কুরবানি।”
নতুন জামা? নেই কোনো,
তবুও ইমান তার পূর্ণ ধন।
গরীব হলেও ঈমানদার,
সে তো জানে কুরবানির সার।
কুরবানি তো শুধু পশু নয়,
আত্মা, আশা — সব বিসর্জন হয়।
যে হারায়, সে-ই পায় আল্লাহ্র দরবারে,
গরীবের চোখে সে ইদ, যে কাঁদে নিরবে দরকারে।
যারা দেয় গোশতের ভাগ,
তাদের হাতেই দয়ালু আল্লাহর লাগ।
আর যারা ভুলে গরীবকে ঈদের দিনে,
তাদের কোরবানি কেবল রীতিতে গলিনে।
তবুও সে শিশুটি মাকে জড়িয়ে কাঁদে —
“মা, আমার ঈদ কি কম শুধু এই পেছনে দাঁড়িয়ে দেখা গরুতে?”
“গোশতের হাড্ডি চাই না মা,
তাকওয়ায় জড়ানো তোমার চোখের দোয়াই হোক আমার ঈদের খুশি।”