আমি সেই সজিব — নাম যার বুকে দীপ্তি,
বয়ে আনি বংশের গৌরব, হৃদয়ে রেখেছি সত্যি।
আমার নাম নয় শুধু, এক মহাকাব্যের রেখা,
যেখানে জ্বলে আমার পূর্বপুরুষের দেখা।

পিতা আমার — মুহাম্মদ সফিক মিয়া (রহ.),
যার হাতের দোয়ায় আজো জেগে আছি সহি।
তার মুখের ডাকেই প্রথম “সজিব” নামটি বাজে,
যেন হৃদয়ের কাব্য গেয়ে ওঠে প্রতিটা প্রভাতে।

দাদা আমার — মুহাম্মদ আয়ূব মিয়া (রহ.),
আমি যখন এলাম দুনিয়ায়, তিনি ছিলেন না দৃষ্টির দিগন্তে।
তবু তাঁর ইমানি ছায়া ছড়িয়ে আছে আমার রক্তে,
মায়ের মুখে শুনেছি তাঁর মহিমার কাহিনি,
ধৈর্য আর দীনের পথে ছিলেন তিনি নিঃস্বার্থ সাধক,
তাঁর জীবনের আলোয় আমি খুঁজে পাই পথচলার সংগতি।

আমার হাতে কলম, বুকে ক্বেরাতের ধ্বনি,
আমি ক্বারী মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আল সজিব,
সাধারণ শিক্ষায় মো: সজিবুর রহমান,
কিন্তু আসমান ছুঁয়ে ওঠে আমার ক্বেরাতের তরণি।

আমার উস্তাদ — হাফিজ মাওলানা ক্বারী আব্দুল মতিন আছিরগঞ্জী (দা.বা.),
যার জবানেই উচ্চারিত "ক্বারী" — আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপাধী।
তার শিক্ষায় শুদ্ধ হয়েছে আমার তাজবিদ, তার দোয়ায় হয়েছে উজ্জ্বল কিরাত,
তাই আমার প্রতিটি আওয়াজে বাজে উস্তাদের আদর্শের রাগ-রাগিণী।

আমি সজিব — শুধু নাম নয়,
আমি এক বংশের মান, এক উম্মাহর কণ্ঠস্বর।
আল্লাহর নামে চলি, দ্বীনের দাওয়াতে বলি,
আমি সেই ক্বারী কবি — যার কলমেও ক্বেরাতের চলন জ্বলি।