সুনামগঞ্জের স্নিগ্ধ ভোরে, দিরাই থানার পাশে,
জগদলের জোৎস্না ঝরে, দৌলতপুর হাসে।
সেই মাটিতে গাঁথা প্রাণের দাগ,
সেই মাটিতে ভেসে আমার স্নেহের ফাগ।
সেখানে শুয়ে আছেন দাদাজান —
আইয়ূব উল্লাহ (রহ.)-এর পবিত্র প্রাণ।
ইমানের দীপ্তি বুক জুড়ে ছিল,
ভালবাসায় ঘেরা জীবন গড়েছিল।
পাশেই আমার বাবা শুয়ে, সফিক মিয়া (রহ.) নাম,
সরকারি দায়িত্বে সততার বাঁধন বুনেছেন আলোকিত ইতিহাসের কামান।
বিটিভির বাতাসে বাজতো তাঁর গান,
সত্যের দীপ্তি ছিল তাঁর শান।
বাবা ছিলেন মাথা উঁচু করা দীপ,
ন্যায়ের খুঁটি, আমানতের চিরদিনের সিপাহি রূপ।
চাচা গিয়াস উদ্দিন (রহ.), সততার সৌরভ,
বিটিসিএলের শ্রেষ্ঠ সুরভ।
বিটিভি সিলেট, চট্টগ্রামের ঘ্রাণ,
সততার পথে কাটিয়েছেন প্রাণ।
আজ তাঁরা নাই, তবুও বাতাসে গান,
আল্লাহর রহমতে থাকুক তাঁদের জান্নাতি স্থান।
দৌলতপুর গ্রামের নিভৃত কোণে,
দাদা আর বাবা শুয়ে চিরস্বপনে।
চাচা ঘুমান দরগাহে শাহজালাল (রহ.)'র ছায়ায়,
পবিত্র জমিনে অশ্রুজল ছায়ায়।
ও মাটির ঘ্রাণ! ও বাতাসের গান!
ডাকো বারবার, ফিরি প্রাণে প্রাণ।
ও দৌলতপুর! তুমি আমার শেকড়ের ধ্বনি,
তোমার বুকে রয়ে গেছে আমার আপন ধন ভনি।
আল্লাহ! তুমি কর রহম তাঁদের ওপর,
দাও তাঁদের জান্নাতের চিরশান্ত ঘর।
আমরা কাঁদি, আমরা দোয়া করি প্রাণভরে,
ও প্রভু! তুমি দাও তাদের আলো ঝরাকরে।