হাসি যেন চাঁদের কিরণ—নিভৃত নিশার কোলে, শান্তি নামে হৃদয়জুড়ে, দুঃখ ধুয়ে তোলে।
একটুখানি মুখের খোঁপায়, জ্যোত্স্না খেলে যায়, ভাঙা মানুষ গড়ে ওঠে, বিষাদ ভুলে চায়।

হাসি মানেই নীরব ভাষা, অন্তরের অনুবাদ, নিঃশব্দে বলে হাজার কথা, দেয় হৃদয়ের সাধ।
কখনো তা মায়ের কোলে, শিশুর চঞ্চল মুখে, আবার কখনো সাথির কাছে, সান্ত্বনার অনুকূল বুকে।

হাসি শুধু ঠোঁটের খেলা নয়—সে আত্মার আরতি,
সে তো আত্ম-আলয়ে জ্বলে ওঠা এক নীরব দীপশিখা স্মৃতি। যেখানে কান্না থেমে গিয়ে, অশ্রুও পায় ছুটি, সেখানে হাসির ছায়াতলে, জন্ম নেয় এক নব দিব্যপথযাত্রী।

রহমানের রহমতের ছোঁয়ায়—প্রভাত হাসে আলোকে, ফেরেশতারা হাসে পর্দায়, নাম পাঠায় দো'আর চোখে।
রাসূল (সা.)-এর হাসি ছিল—রহমতেরই নিদর্শন, অহংকারহীন কোমলতা—তাহাতে জড়িয়ে প্রশান্ত মন।

হাসি যেন জাগ্রত মিনার—আত্মার গভীর বাণী, যেখানে হৃদয় বুঝে নেয়—আছে এখনো প্রেমের পানি।
এই হাসিতে নেই পরিহাস, নেই পাপের ছোঁয়া, শুদ্ধতা আর মানবতাই—যেন তাতে অনন্ত স্রোতা।